মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখা নিয়েই যত ভয় হৃদয়ের

মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখা নিয়েই যত ভয় হৃদয়ের

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২৩ সালের মার্চে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশ দলের নিয়মিত মুখ তাওহিদ হৃদয়। খেলেছেন সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এবারই প্রথম খেলার অপেক্ষায় আছেন হৃদয়। অভিষেক আসরটাকে তাই পারফরম্যান্স দিয়ে রাঙিয়েই রাখতে চান তিনি।

যদিও সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেই অর্থে পারফর্ম করতে পারেননি হৃদয়। তার একটা কারণও আছে, কখনোই একটা নির্দিষ্ট পজিশনে ব্যাট করতে পারেননি তিনি। তবে এবার সুযোগ পেলে পারফরম্যান্সে রাঙাতে চান আসর। বাংলাদেশের জয়ে ভূমিকা রাখতে চান। তবে এরমধ্যে ভয়ও আছে হৃদয়ের। স্বল্প ক্যারিয়ারে কেবল মুদ্রার একটা পিঠ দেখা হৃদয়ের ভয় উল্টো পিঠ দেখা নিয়ে। হৃদয় এমনটিই জানিয়েছেন বিসিবির গ্রিন রেড স্টোরিতে।

দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার কীর্তি আছে হৃদয়ের। তবে বড়রা বিশ্বকাপ দূরে থাক কখনো এশিয়া কাপও জিততে পারেনি। সুযোগ পেলে যা অর্জন করে দেখাতে চান তিনি। বলেন, ‘এখন আমাদের সময় এসেছে জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো জায়গায় গিয়ে ভালো করা, কাপ নেওয়া, ভালো করা না, কাপ নিতে চাই। শুধু আমি না, আমরা সবাই চাই। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে ভালো করতে পারি, তাহলে বেশি দেরি নেই।’

সবশেষ ভারত বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ৬ ইনিংসে হৃদয় করেছেন ১৬৮ রান। যদিও হৃদয়ের কাছ থেকে বড় প্রত্যাশাই ছিল বাংলাদেশ দলের। সেই প্রত্যাশাটা মেটাতে পারেননি হৃদয়। তিনি নিজেও বুঝেন সেটা। তবে তার একটা কারণও যে আছে সেটা জানিয়েছেন হৃদয়। বলেন, ‘২০২৩–এর বিশ্বকাপের আগে আমি অন্য জায়গায় ব্যাটিং করেছি। সব সময় ওপরেই খেলেছি। কিন্তু বিশ্বকাপে যখন নিচে ব্যাটিং করেছি, ছয়ে-সাতে, তখন আমার জন্য মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়েছিল। এরপরও চেষ্টা করেছি। দল আমার কাছে যা চেয়েছে, তা দিয়ে কন্ট্রিবিউট করার জন্য। হ্যাঁ, কিছু ম্যাচ পারিনি।’

সাম্প্রতিক সময়ের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বড় ভরসার নাম হৃদয়। ২২ টি টি-টোয়েন্টি খেলা হৃদয়ের গড় ৩০.২৬। স্ট্রাইক রেট ১৩১.৫৯। বাংলাদেশে বাকি ব্যাটারদের দিকে তাকালে যা বেশ আশা জাগানিয়ায় বটে। স্বল্প ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়তে হয়নি তাকে। হতে হয়নি প্রশ্নবিদ্ধ। দেখতে হয়নি মুদ্রার উল্টো পিঠ। যদিও সেই উল্টো পিঠ দেখা নিয়েই ভয় হৃদয়ের মনে।

গত বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের সূত্র ধরে হৃদয় আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না আমি খুব খারাপ খেলেছিলাম। আমি ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ওপরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছি। ভারতের সঙ্গে রান করতে পারেনি আর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমি ৭৪ করেছিলাম। ভালো একটা অভিজ্ঞতা ছিল। অনেকে বলে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আমি এখনো তা দেখিনি। আল্লাহ আমাকে যেন সেটা না দেখায়। যেন দলের জন্য সব সময় অবদান রেখে যেতে পারি।’

সম্পর্কিত খবর