বাবরের ফিফটির পর শাদাব-ইফতি ঝড়ে পাকিস্তানের ২৮২

বাবরের ফিফটির পর শাদাব-ইফতি ঝড়ে পাকিস্তানের ২৮২

এবারের বিশ্বকাপে মাঝের ওভারগুলোই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। দারুণ শুরুর পরও মাঝের ১৫ ওভারে ৩ উইকেট যখন খুইয়ে বসল পাকিস্তান, তখন মনে হচ্ছিল আবারও বুঝি মাঝের ওভারে খেই হারিয়ে বসতে যাচ্ছেন বাবর আজমরা। তবে সেটা হয়নি শেষমেশ। শেষ দিকে শাদাব খান আর ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে চড়ে পাকিস্তান পেয়ে গেছে ২৮২ রানের লড়াকু পুঁজি।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সঙ্গী ইমাম উল হককে নিয়ে শুরুটা দারুণই করেছিলেন আব্দুল্লাহ শফিক। পাওয়ারপ্লেতে দুজন মিলে তুলে নিয়েছিলেন ৫৬ রান। তবে পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই পাকিস্তানকে চেপে ধরে আফগানরা। দ্বিতীয় পাওয়ারপ্লের শুরুর ওভারে ইমামকে ফেরান আজমতউল্লাহ উমরজাই।

বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে আব্দুল্লাহ সে ধাক্কাটা পুষিয়ে দিচ্ছিলেন বেশ। সুরটা কেটে যায় নুর আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আব্দুল্লাহ ফিরে গেলে। নুর তার পরের ওভারে ফেরান মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও। আর তাতে পাকিস্তান খানিকটা চাপেই পড়ে যায়।

বাবর শুরুতে সউদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে সামাল দিচ্ছিলেন চাপটা। এরপর দলীয় ১৬০ রানে শাকিল ফিরে গেলে শাদাব খানের সঙ্গে জুটি বাধেন পাক অধিনায়ক। তিনি নিজেও অবশ্য বেশি দূর এগোতে পারেননি, বিদায় নিয়েছেন ৭৪ রানে। 

বাবরের বিদায়ের সময় পাকিস্তানের ইনিংসে ৪৯ বল বাকি ছিল, স্কোরবোর্ডে উঠেছিল মোটে ২০৬ রান। সেখান থেকে দলটা যে পেল প্রায় তিনশ ছুঁইছুঁই পুঁজি, তার পুরো কৃতিত্বটাই শাদাব আর ইফতিখার আহমেদের। দুজন মিলে পরের ৪৫ বলে তোলেন ৭৩ রান। ২৭ বলে ৪০ রান করে ইফতিখার যখন ফিরছেন, লড়াকু পুঁজি এসে গেছে তখনই। ৩৮ বলে ৪০ রান করে শাদাব বিদায় নেন ইনিংসের একেবারে শেষ বলে। পাকিস্তান পায় ২৮২ রানের পুঁজি।

সম্পর্কিত খবর