সাকিব খেলছেন, ইনজুরি নিয়ে তাসকিন আউট
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে খেলছেন সাকিব আল হাসান। নিজের ফিটনেস নিয়ে তিনি সুখবর শোনালেও তাসকিন আহমেদ যে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে পরিকল্পনায় নেই, সেটা নিশ্চিত করলেন। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান জানান, আমি আগেরদিন অনুশীলন করেছি। ব্যাটিং করেছি। কোনো সমস্যা মনে হয়নি। আজ সোমবার আরেকদফা অনুশীলন করবো। তেমন কোনো জটিলতা আমি দেখছি না। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, ফিট থাকি তাহলে ম্যাচে খেলবো ইনশাআল্লাহ। তবে এই ম্যাচে তাসকিন নেই। তার কাঁধে চোট রয়েছে। আমাদের সামনে আরো অনেক ম্যাচ রয়েছে। আমরা তাকে সেই ম্যাচের জন্য পুরোমাত্রায় ফিট হিসেবে পেতে চাই। তাই তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।’
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জেতার পর বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত আর কোনো ম্যাচে জেতেনি। শেষ তিন ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে। কোনো লড়াই বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সফরকে অধিনায়ক সাকিব কি চোখে দেখছেন?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার যথাযথ সময় এখনো আসেনি বলে সাকিব জানান, এখনো বিশ্বকাপে আমাদের পাঁচটি ম্যাচ বাকি আছে। সেই ম্যাচগুলো খেলি, তারপর একবারে বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের মন্তব্য করা যাবে। এখন অর্ধেক পথে কোন মন্তব্য না করাই ভালো। খেলা শেষ করি তারপর দিবো।’
ইনজুরির কারণে সাকিব পুনেতে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটা মিস করেছিলেন। দল হারছে বড় ব্যবধানে। অধিনায়ক ইনজুরিতে একটা ম্যাচ মিস করেছেন। চারধারে তুমুল সমালোচনা, এমনসব পরিস্থিতি নিশ্চয়ই অধিনায়ক এই বিশ্বকাপে কামনা করেনি। সাকিব কোনো দার্শনিক ব্যাখ্যায় গেলেন না। সাফ জানালেন, এই প্রথম আমি ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ মিস করলাম। এটা আমার জন্য অনেক আফসোসের বিষয়। বিশ্বকাপে খেলতে এসে কোনোভাবেই কোনো খেলোয়াড় চায় না কোনো ম্যাচ মিস করতে। তো এমন অবস্থায় ঐ ম্যাচ মিস করাটা আমার জন্য কষ্টকর ছিল। বিশ্বকাপের মতো বড় পর্যায়ের টুর্নামেন্টে দলকে মোটিভেট করার খুব দরকার হয় বলে আমরা মনে হয় না। সবাই জানে তাদের দায়িত্ব কি। কাজটা কি। এখানে সবাই মোটিভেটেট। সবাই যার যার জায়গা থেকে ভালো করার চেষ্টা করছে। কালেক্টিভলি আমরা এখন পর্যন্ত ভালো করিনি। তবে একক ভাবে আমাদের বেশ কয়েকজন ভালো পারফরমেন্স করেছে। তবে এই একক পারফরমেন্সগুলো আরো ভালো (বড় হলে) হয়তো বা আমরা দল হিসেবে আরো ভালো করতে পারতাম।’