মায়ের স্বপ্ন পূরণে বিশ্বমঞ্চে জাকের

মায়ের স্বপ্ন পূরণে বিশ্বমঞ্চে জাকের

বাংলাদেশের ক্রিকেটে যেখানে ২০ বছরের আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে যায় অনেকের। সেখানে জাকের আলী অনিককে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৬ বছর পর্যন্ত। বিপিএলে দারুণ পারফর্ম করে জাতীয় দলে সুযোগ পান জাকের। এরপর প্রথম ম্যাচেই ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৩৪ বলে ৬৮ রান করেন।

ব্যাট হাতে মুগ্ধতা কেড়ে দলের নিয়মিত ক্রিকেটার বনে যান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এখন অপেক্ষা করছেন দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে প্রথমবারের মতো মাঠে নামার। আর তার স্বপ্ন পূরণের গল্পে জড়িয়ে আছে তার পরিবার, বিশেষ করে তার মার। যেই গল্পই শুনিয়েছেন জাকের বিসিবিকে দেওয়া গ্রিন রেড স্টোরিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।

নিজের ক্রিকেটার হওয়ার গল্প নিয়ে জাকের বলেন, ‘ক্রিকেট দেখেই ক্রিকেটে আসা। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট খুব ভালোভাবে অনুসরণ করি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই বিশ্বকাপ থেকে ক্রিকেটটা ভালোভাবে বোঝা শুরু করি। তখন থেকেই আসলে ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলব। দেশের হয়ে খেলাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। সেটা যদি বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে হয়, তবে তো আরও ভালো।’

জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমে জাকের তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। সেই স্বপ্ন পূরণের গল্পের কথা জানিয়ে জাকের বলেন, ‘কাছের সবাই খুব গর্ববোধ করে। আম্মার স্বপ্ন ছিল, আমি দেশের হয়ে খেলব। উনি সব সময় বলতেন, “তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফি ভাইদের দলে তুই কবে খেলবি।” এটাই আমার আম্মার স্বপ্ন ছিল। আর এখন উনি খুব গর্ববোধ করেন। আব্বা যত দিন ছিলেন, তিনি মাঠে বসে থাকতেন। আব্বা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেত।’

নিজের ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে বড় ভাইয়ের অবদানের কথা জানিয়ে জাকের বলেন, ‘আমার বড় ভাইকে দেখে ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। আমি যখন ক্রিকেট দেখা শুরু করি, সে সময় আমার ভাইও ক্রিকেট খেলত। এসব কারণে সবার ভালো সমর্থন পেয়েছি। আমি ২০১০ সালে বিকেএসপিতে ট্রায়াল দিই, এখানে আসার পরই স্বপ্নগুলো বড় হতে থাকে। শুরুতে স্বপ্ন এত বড় ছিল না। তবে এখানে এসে যখন বড় ভাইদের দেখলাম, তখন মনে হলো স্বপ্নগুলো বড় করতে হবে। যদি আমি হবিগঞ্জে বসে থাকতাম, আমার মনে হয় না এত দূর আসতে পারতাম।’

সম্পর্কিত খবর