দলের হয়ে প্রতিদিনই অবদান রাখতে চান শান্ত
৬, ২, ৩৬, ৩, ৩৬। সব পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর রানের সংখ্যাগুলো। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে ব্যাট হাতে একেবারেই ছন্দে নেই এই বাঁহাতি ব্যাটার। সামনে যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং দলের অধিনায়ক যখন ব্যাট হাতে ধুঁকছে তখন সেটি স্বাভাবিকভাবেই টেনে আনে চিন্তা। তবে এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন শান্ত নিজে। নিজের দায়িত্বটাকে ভালোভাবে পালন করতে চান এবং দলের হয়ে প্রতিদিনই অবদান রাখতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ক্রিকেটারদের ভাবনা নিয়ে ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’ শিরোনামে ধারাবাহিক বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে বিসিবি। সেখানে এবার পালা দলের অধিনায়কের। বিশ্বকাপ এবং নিজেকে নিয়ে কী ভাবছেন সেসব নিয়েই সেখানে কথা বলেন শান্ত।
এই প্রথম বিশ্ব অঙ্গনের কোনো টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন শান্ত। আশরাফুল, মাশরাফি, মুশফিক, তামিম, সাকিবদের উত্তরসূরি হয়ে এমন কিছুকে বিশাল এক গর্বের বিষয় বলেই আখ্যায়িত করলেন তিনি। বিসিবির সেই সাক্ষাৎকারে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই একটা স্বপ্ন থাকে যে প্রথমে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা অবশ্যই, তারপর এটা যদি ওয়ার্ল্ডকাপের মতো একটা আসরে এরকম সুযোগ আসে তাহলে তো প্লেয়ারের জন্যে গর্বের একটা ব্যাপার। অনেক এক্সাইটিং একটা মুহুর্ত আমার কাছে মনে হয়। পাশাপাশি এই মোমেন্টটাকে উপভোগ করতে চাই এবং টিমের হয়ে প্রত্যেকদিন অবদান রাখতে চাই।’
বর্তমানে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক শান্ত। এতে দায়িত্ব বেড়েছে নিশ্চয়। তবে বিষয়টিতে সেভাবে বা ভেবে প্রত্যেকটা মুহূর্তকে উপভোগ করতে চান তিনি। নিজের অধিনায়কত্বের প্রসঙ্গে টেনে তাই শান্ত বলেন, ‘যে দায়িত্বটা আছে সেটা ঠিকভাবে পালন করতে চাই। এটাই টার্গেট। ক্যাপ্টেন হয়ে যাওয়াতে খুব বেশি যে দায়িত্ব বেড়ে গেছে জিনিসটা এভাবেও চিন্তা করতে চাই না। প্রত্যেকটা সময় উপভোগ করতে চাই এবং প্রত্যেকটা দিন টিমকে যেন কিছু একটা দিতে পারি এটাই মূল লক্ষ্য থাকবে।’
বোলাররা নিয়মিত ছন্দে থাকলেও বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজেও ব্যাটাররা ছিলেন পুরোদস্তুর ব্যর্থ। এর আগেও একাধিকবার ব্যাটারদের ফিরে আশার আশ্বাস দিয়েছিলেন শান্ত। এবারও অনেকটা সেই আশার বাণীই শোনালেন। ‘আলাদাভাবে চাওয়া কিছু নাই। প্রত্যেকটা প্লেয়ারের কাছ থেকেই আমার সমান এক্সপেকটেশন। যার যে রোলটা থাকবে সে অনুযায়ী যেন টিমে কন্ট্রিবিউট করে সেটাই চাওয়াটাই থাকবে।’