বিশ্বকাপে খারাপ সময়ে গেলে সমর্থকদের পাশে চান শান্ত
দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নয়টি আসরেই অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের অর্জনের খাতাটা এখনো খালি। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমি-ফাইনালে খেললেও এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ চারে পৌঁছাতে পারেনি আশরাফুল, সাকিব, মুশফিক বা তামিমের নেতৃত্বাধীন দলগুলো।
এই প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভালো কিছু করার স্বপ্নটা দেখছেন স্বাভাবিকভাবেই। যদি তেমনটা না হয়, অর্থাৎ, বিশ্বকাপে যদি তার দল খারাপ করে সেক্ষেত্রে সমর্থকদের পাশে চাইলেন শান্ত।
বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই ক্রিকেটপ্রেমী। দেশের ক্রিকেটের টালমাটাল অবস্থা গেলেও ক্রিকেট দেখাটা যেন ছাড়েনি কেউই। ক্রিকেট মানেই যেন উৎসব এবং সেটি যদি হয় বিশ্বকাপের মঞ্চে তাহলে তো কথায় নেই। তবে আসর ঘুরে কেবল হতাশই হতে হয়েছে সমর্থকদের। আরও একবার বিশ্ব দুয়ারে সাকিব-শান্তরা। দেশের মানুষের ক্রিকেটের প্রতি এমন উন্মাদনা স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগায় দলের ক্রিকেটারদের।
বিশ্বকাপের আগে গ্রিন রেড স্টোরি শিরোনামে বিসিবির প্রকাশ করা বিশেষ সাক্ষাৎকারে শান্ত বলেন, ‘দেশের বাইরে যখন সাপোর্টাররা সাপোর্ট করেন তখন এটা একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা। আমাদের দেশে মানুষ যেভাবে ক্রিকেট ফলো করে, ক্রিকেটের পাশে থাকে এটা অবশ্যই টিমকে ইন্সপায়ার করে। আলাদা করে তাদের কাছে চাওয়া থাকবে আল্লাহ না করুক ওয়ার্ল্ডকাপে যদি কোনো খারাপ সিচুয়েশনে পরি ওই সময়টা যেন টিমের পাশে থাকে আর সাপোর্ট করে।’
সমর্থকদের পাশে থাকার পাশাপাশি দলের ক্রিকেটারদের মধ্যকার সম্পর্কটাও অনেকক্ষেত্রেই মানসিক ব্যাপারটা মজবুত করতে সাহায্য করে। এবং শান্ত সেখানে দিলেন ইতিবাচক উত্তর। জানালেন দলে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা বেশ ভালো। ‘আমাদের একজন আরেকজনের সঙ্গে বন্ডিংটা খুব ভাল। সবাই সবাইকে খুব ভালোভাবে বোঝে। যে ১৫টা প্লেয়ার আমরা একসাথে মাঠে আসি ড্রেসিং রুম শেয়ার করি। সবাই সবাইকে খুব ভালোভাবেচিনি। দলে এই জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সিনিয়র এবং জুনিয়রদের মিশেলটা খুবই ভালো।’