ডাচদের প্রোটিয়া বধের মন্ত্র কাজে লাগাতে চান সাকিব
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটা এমন; হারলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে বিদায়। আর জিতলে থাকবে সেমিফাইনালে উঠার সুযোগ। সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে মরিয়া বাংলাদেশ। যদিও প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা নামে, ভারে ও সাম্প্রতিক ফর্ম; যে কোনে বিবেচনায় ঢের এগিয়ে। বিশ্বকাপের দল গুলোর জন্য প্রোটিয়ারা রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। তবে আতঙ্ক গ্রস্ত হচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। ডাচদের থেকে প্রোটিয়া বধের মন্ত্র শিখে তা কাজে লাগাতে চান সাকিব আল হাসান। টিকে থাকার এই রেস জিতে যেতে চান বহু দূর।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের যে তিনটিতে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা; সেই তিন ম্যাচেই আগে ব্যাট করেছে প্রোটিয়ারা। হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে। তবে ভিন্ন গল্পও আছে। পরে ব্যাট করতে নামা একমাত্র সেই ম্যাচটিতে প্রোটিয়ারা খেই হারিয়েছে কোয়ালিফায়ার রাউন্ড থেকে উঠে আসা দল নোদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। তাছাড়া দলটির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও তাই বলে। অর্থাৎ টার্গেট তাড়া করায় প্রোটিয়াদের সমস্যাটা স্পষ্ট।
কাজেই মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের এই ছোট মাঠে আগে ব্যাট করে বড় টার্গেট ছুড়তেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন টেম্বা বাভুমার দল। তাই টস হতে পারে ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। আর সেখানটাতেই জিততে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাট করতে চান আগে। আর সেটি না হলে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের আটকে রাখতে চান অল্পতে।
তবে প্রোটিয়াদের অল্পতে আটকে রাখাটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। কেননা, দলটির টপ অর্ডার ব্যাটাররা রয়েছে দারুণ ছন্দে। ডি কক, ডুসেন, ক্লাসেন ও মার্করামরা রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন প্রতিপক্ষের জন্য। নিয়মিতই সাড়ে তিন’শর ওপর টার্গেট ছুড়ছে দলটি। তাই তাদের সামলাতে বেশ ধকল পোহাতে হবে বাংলাদেশ দলকে। তাছাড়া এমন কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ দল পাচ্ছে না তাদের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদকে।
অবশ্য প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বিশ্বমঞ্চে দু’বার জয়ের সুখ স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। সবশেষ বিশ্বকাপেও দলটির বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর তাদের মাটিতে দলটির বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। তাছাড়া উড়লেও ধপাস করে মাটিতে পড়ে যাওয়ার অভ্যাসটা প্রোটিয়াদের পুরনো। সেই উদাহরণ তো ডাচদের বিপক্ষে কদিন আগেই আরও একবার দেখেছে বিশ্ব। এবার সেই ম্যাচ থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে আরও একবার প্রোটিয়া বধের মিশন বাংলাদেশের।