প্রতিদিন ৮ কেজি মাংস খাচ্ছেন, ফিটনেস কোথায়; প্রশ্ন ওয়াসিমের

প্রতিদিন ৮ কেজি মাংস খাচ্ছেন, ফিটনেস কোথায়; প্রশ্ন ওয়াসিমের

পাকিস্তান ম্যাচের আগেও বড় গলা করে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল ওয়াসিম আকরামকে। কিন্তু গতকাল আফগানদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের পরাজয়ের পর সেই মুখ আর রইল না তার। বিশ্বমঞ্চে উত্তরসূরিদের এমন হারে বিব্রত তিনি। বাবর আজমদের ওপর বেজায় চটেছেন সাবেক এই কিংবদন্তি। ধুয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটারদের। সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন বোর্ড কর্তাদের কাণ্ডজ্ঞান নিয়েও।

বিশ্বকাপের আগে ফিটনেস ক্যাম্প করেনি পাকিস্তান। আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর তাই নিয়ে এবার ক্ষোভ ঝেড়েছেন ওয়াসিম, ‘আজ যা হলো তা বিব্রতকর। মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ২৮০-এর কাছাকাছি পৌঁছানো বেশ বড় ব্যাপার। মাঠ ভেজা নয় অথচ তাদের ফিল্ডিং ফিটনেসের লেভেল দেখুন। আমরা গত ৩ সপ্তাহ ধরে চিৎকার করছি যে এই খেলোয়াড়দের ফিটনেসের মধ্য দিয়ে যাওয়া হয়নি। গত দুই বছরে মাত্র একটি ফিটনেস পরীক্ষা হয়েছে। আমি যদি আলাদা আলাদা নাম বলতে শুরু করি তবে তাদের মুখ থাকবে না। দেখে মনে হচ্ছে এই ছেলেরা প্রতিদিন ৮ কেজি মাটন খাচ্ছে।’

ক্রিকেটারদের পেশাদারিত্ব নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন ওয়াসিম, ‘পেশাদারভাবে আপনারা দেশের হয়ে খেলার জন্য বেতন পাচ্ছেন। একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠি থাকতে হবে। মিসবাহ যখন কোচ ছিলেন, তখন সেই মাপকাঠি ছিল। খেলোয়াড়রা তাকে ঘৃণা করত কিন্তু তা কাজে লাগত। ফিল্ডিং হল ফিটনেসের বিষয়। এখানেই আমাদের অভাব রয়েছে।’

রমিজ রাজার অধীনে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে পাকিস্তান। আর তাকে বরখাস্ত করার পর জাকা আশরাফ ও নাজাম শেঠির অধীনে এশিয়া কাপের ফাইনালেও খেলতে পারেনি বাবররা। যা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াসিম।

বলেন, ‘‘আমরা ১ নম্বরে ছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজিত ছিলাম। কিন্তু গত ৬-৮ মাস, আমাদের একজন চেয়ারম্যান ছিল। একজন ৩-৪ মাসের জন্য বোর্ডে এসেছিলেন, তিনি সরাসরি কোচিং স্টাফ পরিবর্তন করেছিলেন। আমরা ফাইনালে পৌঁছেছিলাম। কিন্তু এরপর বাইরে এসে সে চারপাশের জিনিসগুলো এলোমেলো করে দিল। ‘ওকে বের করে দাও, একে দিয়ে চলবে না। তোমার নিজের ছেলেদের ভিতরে নিয়ে যাও।’’

ওয়াসিম আরও বলেন, ‘আপনারা আমার কাছে সিনিয়র, বড়, কিন্তু পরের বার, দয়া করে... যে কেউ হবে চেয়ারম্যান। জাতির কথা ভাবুন। ওয়াসিম খান এবং এহসান মানি হাই-পারফরম্যান্স সেন্টারকে একত্রিত করতে এবং একটি সিস্টেম তৈরি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তারা সেটিকেও পরিবর্তন করে এটিকে একটি জাতীয় কোচিং সেন্টারে পরিণত করেছেন। সেখানে একটি ক্যাম্পও অনুষ্ঠিত হয়নি। ৮ মাসের জন্য। কেন আপনাকে অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে? এসব বাদ দিন।’

সম্পর্কিত খবর