বাবরদের সিরিজে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সারল বাটলাররা
‘অর্ধেক সিরিজ’ তো ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতেই! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি রেখেছিল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। তাদের সেই প্রস্তুতির অর্ধেকেই জল ঢালল বৃষ্টি, তবে শেষ পর্যন্ত সিরিজটা জিতল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সিরিজের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে গতকাল দ্য ওভালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ এক জয় পায় জশ বাটলারের দল। এতেই বৃষ্টি বিঘ্নিত চার ম্যাচের সিরিজটি ২-০ ব্যবধানে জেতে ইংলিশরা।
এর আগে লিডসে গত ২২ মের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। পরে গত শনিবার বার্মিংহামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হয়েছে অবশ্য কোনো বৃষ্টির বাঁধা ছাড়াই। সেখানে ২৩ রানের ম্যাচ জেতে স্বাগতিকরা। ফের কার্ডিফে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টিতে।
ওভালে গতকালের ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে থাকেন দুই ইংলিশ ওপেনার জশ বাটলার ও ফিল সল্ট। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই তারা তোলে ৭৮ রান। পরে দলীয় ৮২ রানের মাথায় ফেরেন সল্ট। আইপিএলে ব্যাট হাতে দারুণ সময় পার করে জাতীয় দলেও সেই ছন্দ ধরে রেখেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এদিন ফেরেন ২৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করে। পরের ১০১ রানের মাথায় ৩৯ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার বাটলার। একাদশ ওভারের শেষ বলে ফেরেন উইল জ্যাকসও। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি স্বাগতিক দলটি এবং ১৫ ওভার ৩ বলেই পৌঁছে যায় লক্ষ্যে।
ইংল্যান্ডের সেই তিনটি উইকেটই তুলে নিয়েছেন পেসার হারিস রউফ।
এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নামে শুরুটা ভালো পেয়েছিল সফরকারীরা। পাওয়ার প্লের একদম শেষ বলে এসে উইকেট হারালেও ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে ৫৯ রান যোগ করে বাবর ও রিজওয়ান। ৩৬ রান করে ফেরেন বাবর। পরের দলীয় সংগ্রহ ৮৬ রানে পৌঁছাতেই সাজঘরে অর্ধেক দল। সেখান থেকে উসমান খানের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৮ এবং ইফতিখার আহমেদের ২১ রান চড়ে শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাবর আজমের দল। সেখানে ইংল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন উড, রশিদ ও লিভিংস্টোন। ম্যাচসেরা হয়েছেন রশিদ এবং সিরিজসেরার খেতাব গেছে বাটলারের ঝুলিতে।
বিশ্বকাপের আগে এপ্রিল-মে মাসেই তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলল পাকিস্তান। তবে ২১ ডিসেম্বরের পর থেকে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত এই দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই খেলতে পারলো বাটলার-মঈন আলীরা। অবশ্য সিরিজ জিতে প্রস্তুতিটা ভালো নিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।