বিশ্বকাপের আগে যা বললেন সাকিব
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। তার ঠিক আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদের এই বিশ্বকাপের স্বপ্নসারথীদের নিয়ে ধারাবাহিক ভিডিওবার্তা বানিয়েছে ‘রেড অ্যান্ড গ্রিন স্টোরি’তে। তার আজকের পর্বে ছিলেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের জন্য দেশ ছাড়ার আগে তিনি জানিয়েছেন বিশ্বকাপ নিয়ে, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা।
স্পোর্টস বাংলার পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো–
প্রথম বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত সব টুর্নামেন্টে খেলেছেন। অনুভূতিটা কেমন?
ক্যারিয়ারের শুরুতে ভাবিনি এত দিন খেলব। প্রথম বিশ্বকাপ থেকে এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত সব বিশ্বকাপে খেলেছি, আমার জন্য এটা গর্বের, একই সঙ্গে আনন্দের; দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি, ভালো লাগাও কাজ করে।
বিশ্বকাপ থেকে কী আশা করছেন?
আমি আর রোহিত শর্মা সম্ভবত দুইজন খেলোয়াড় যারা সব বিশ্বকাপ খেলেছে। আশা করব যে আরও একটা বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে যেন পারফর্ম্যান্সটা অনেক ভালো থাকে, বাংলাদেশ যেন অন্য যে কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সাকিবের ‘সেকেন্ড হোম’, সে ‘হোম অ্যাডভান্টেজটা’ কি পাবে দল?
যুক্তরাষ্ট্র আমার ‘সেকেন্ড হোম’ ঠিক আছে, কিন্তু দল ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’টা পাবে কি না, তা বলা মুশকিল। তবে আমার মনে হয় পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে আমরা আগে খেলেছি, ফ্লোরিডায় যখন খেলেছি, দল ভালো খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সব সময়ই আমরা ফেভার পাই, কারণ ওখানকার পিচগুলো আমাদেরই মতো অনেকটা। আমার মনে হয় দুই জায়গাতেই আমরা অ্যাডভান্টেজ পাব।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শুরু থেকে দেখেছেন, এখন এটা প্রাইম ফরম্যাট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিবর্তন কীভাবে দেখেন আপনি?
পরিবর্তন যেটা দেখি, সেটা হচ্ছে, এটা ওয়ানডেরই একটা রূপ। কার্টেল ওভারের ম্যাচ হলে যেটা হতো, অনেক রোমাঞ্চকর, দর্শক পছন্দ করে খেলাটা। আমি একটা বিষয়ই মনে করি যেন ব্যাট আর বলের সমান প্রতিযোগিতা এখানে থাকে। এক তরফা যেন টুর্নামেন্টটা না হয়। বিশ্বকাপে কখনোই এমন কিছু হয় না, আমি মনে করি এবারও এমনই হবে।
একজন সংসদ সদস্য নাকি ক্রিকেটারের কাজটা কঠিন?
আমার জন্য সংসদ সদস্যের কাজটা কঠিন, যেহেতু আমার জন্য বিষয়টা নতুন। ক্রিকেট যেহেতু শুরু থেকে খেলে এসেছি, খেলাটায় আমার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ বেশি হয়। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত। তো আমাকে যদি বলেন কোন কাজটা কঠিন, আমি বলব সংসদ সদস্যের কাজটাই কঠিন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি দর্শক আছেন অনেক। কেমন সমর্থন আশা করছেন?
প্রচুর বাংলাদেশী দর্শক ওখানে অপেক্ষায় আছেন, আশা করি ওখানে আমাদের তারা পূর্ণ সমর্থন দেবে। ওখানে আমি আশা করব এই সমর্থনটা আমাদের কাজে দেবে, আর আমরা ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হব।
এই বিশ্বকাপে আপনার সামনে রেকর্ডের হাতছানি আছে…
নামের পাশে আমি কিছুই করতে চাই না, আমি চাইব যেন দলের হয়ে অবদান রাখতে পারি। বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারি।