প্রথম বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ উগান্ডার
ক্রিকেট বিশ্বে উগান্ডা ক্রিকেট খুব একটা যে নতুন তাও নয়। তারা স্বীকৃত ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত সেই ১৯৫৮ সাল থেকেই। কেনিয়া তানজানিয়া ও উগান্ডা মিলে পূর্ব আফ্রিকা নামে দলটি ১৯৫৮ সালে প্রথম ম্যাচ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ১৯৬৬ সালে এসে পূর্ব আফ্রিকা আইসিসির সহযোগী দেশের মর্যাদা পায়। পরের উগান্ডার একক দেশ হিসেবে ক্রিকেটে পরিচিত পাওয়ার শুরুটা ১৯৮৯ সালে, যখন পূর্ব আফ্রিকা দলটি আইসিসি ছাড়ে। পড়ে মালাউই, তানজানিয়া, উগান্ডা ও জাম্বিয়া মিলে নতুন দল গঠিত হয় ‘পূর্ব এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকা’ নামে।
বছর নয়েক পর ১৯৯৮ সালে এবার পূর্ব এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকা দল থেকে আলাদা হয়ে যায় উগান্ডা এবং একই বছরেই পায় আইসিসি সহযোগী দেশের সদস্যপদ।
১৯৯৮ সালে আইসিসির সহযোগী দেশের পরিচিতি পেলেও প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ২১ বছর। ২০১৯ সালের ২০ মে বতসোয়ানার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আগমন ঘটে উগান্ডার। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ৯১টি স্বল্প ফরম্যাটের ম্যাচ খেলেছে আফ্রিকান দেশটি। এর ম্যাচে জিতেছে ৬৯ ম্যাচেই। ১৯টিতে হার এবং চারটি ম্যাচে হয়নি কোনো ফলাফল।
আইসিসির সহযোগী দেশের সদস্য পদ পাওয়ার পর উগান্ডা ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন বলতে গেলে এবারের ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়া। এই প্রথম আইসিসির কোনো বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছে দলটি।
বিশ্বকাপে উগান্ডা আছে গ্রুপ ‘সি’-তে। সেখানে বাকি চার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও পাপুয়া নিউগিনি।
এক নজরে গ্রুপপর্বে উগান্ডার ম্যাচগুলো:
উগান্ডা-আফগানিস্তান, ৪ জুন (গায়ানা)
উগান্ডা-পাপুয়া নিউ গিনি, ৬ জুন (গায়ানা)
উগান্ডা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৯ জুন (গায়ানা)
উগান্ডা-নিউজিল্যান্ড, ১৫ জুন (ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো)
বিশ্বকাপের উগান্ডা দল: ব্রায়ান মাসাবা (অধিনায়ক), রিয়াজত আলি শাহ, কেনেথ ওয়াইসওয়া, দিনেশ নাকরানি, ফ্রাঙ্কো সুবুগা, রোনাক প্যাটেল, রজার মুসাকা, কোমমাস কিয়েউতা, বিলাল হাসুন, ফ্রেড আচেলাম, রবিনসন ওবুয়া, সাইমন সেসাজি, হেনরি সেনিওন্ডো, আলপেশ রামজানি, জুমা মিয়াজি।
রিজার্ভ: রোনাল্ড লুটায়া, ইনোসেন্ট এমওয়েবাজ।