নতুন মিশনে শিরোপা বুভুক্ষু ভারত

নতুন মিশনে শিরোপা বুভুক্ষু ভারত

ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি মোটে একটা। শেষ চার আসরে ফাইনাল খেলেছে একবার, সেমিফাইনাল দুবার। দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ট্রফির আক্ষেপটা নিশ্চয়ই এবার ঘোচাতে চাইবে দলটা। 

এমনিতেও আইসিসি শিরোপার আক্ষেপ দলটার বহুদিনের। ২০১৩ সালে সবশেষ বৈশ্বিক কোনো শিরোপা জিতেছিল তারা, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর থেকে তিন ফরম্যাটের চার বৈশ্বিক আসরে একে একে পাঁচটা ফাইনাল খেলেছে ভারত। শেষ বার তো নিজেদের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সব মিলিয়ে শিরোপা বুভুক্ষু ভারত এবার ট্রফিটা জিততে মরিয়া। 

সেজন্যে পর্যাপ্ত রসদও দলটার আছে বৈকি! অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার ভূমিকা ভারতে প্রশ্নাতীত, বিশেষ করে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে; এতটাই যে বাজে আইপিএলের পরও রোহিত কোনো প্রকার সন্দেহ ছাড়াই থাকবেন ভারতের অধিনায়ক হিসেবে। তার সঙ্গে ভারতের টপ অর্ডারটা দেখুন, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবরা আছেন ওখানে। শেষ কিছু দিনে উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্ত আর সাঞ্জু স্যামসনও আছেন দারুণ ছন্দে। ফলে রোহিত শর্মার দল বিশ্বকাপে পড়বে উইকেট রক্ষক নিয়ে মধুর সমস্যায়।

হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর পাটেল, শিভাম দুবে… অলরাউন্ডারদের তালিকাটাও নেহায়েত মন্দ নয় ভারতের। ভারতের স্কোয়াডকে ব্যাটিং-বোলিং গভীরতা আর ভার্সেটাইলিটিও দিতে পারেন এ চতুষ্টয়।

বোলিং বিভাগটা দেখুন। যশপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, যুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদবরা আছেন এখানে। পেসারদের সংখ্যা একটু বেশিই কম হয়ে গেল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওঠাটাই স্বাভাবিক। পেস বোলিংয়ে এমন অপ্রতুল রসদকে কী করে সামলান অধিনায়ক রোহিত শর্মা, তাও দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্কোয়াড

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্ত, সাঞ্জু স্যামসন, শিভাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর পাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আরশদীপ সিং, যশপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ।

ব্যবধান গড়ে দেবেন যিনি- যশপ্রীত বুমরাহ

২০২২ বিশ্বকাপে চোট নিয়ে মাঠ নামতে পারেননি। তবে সে বুমরাহ ফিরে এসেছেন এবার। গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে জানান দিয়েছেন, ঝাঁজটা তার আছে আগের মতোই। সবশেষ আইপিএলে দল যখন ভুগেছেন, ঠিক তখন ১৩ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে বুঝিয়েছেন, টি-টোয়েন্টিতেও পরিস্থিতিটা বদলায়নি। 

ডেথ ওভারে তিনি কী করতে পারেন, তা অজানা নয় ক্রিকেট পরিমণ্ডলে। যুক্তরাষ্ট্র আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনের কথা যদি মাথায় রাখেন, তাহলে তার ভূমিকাটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ঠেকার কথা আপনার কাছে। 

দলে একজন বুমরাহ আছেন বলেই হয়তো ভারত সাহস দেখিয়েছে একজন পেসার কম খেলানোর। এবার তার সে আস্থার প্রতিদান মাঠে দেওয়ার পালা।

সম্পর্কিত খবর