রশিদরা কি এবার লিখবেন আফগান রূপকথা?
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে দেখছেন কাদের? এমন প্রেডিকশন করতে দিলে বেশিরভাগ উত্তর আসবে ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানকে ঘিরেই। তবে একটি প্রেডিকশন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। প্রেডিকশন লিস্টের প্রথম নামটি দেখে অনেকেই আন্দাজ করে নিবে এটি কোনো ক্যারিবীয় তারকার দেওয়া। হ্যাঁ, প্রেডিকশনটি ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার। তবে এখানে আলোচনার বিষয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘিরে নয়, তালিকার শেষ নাম আফগানিস্তানকে নিয়ে।
বিশ্ব মঞ্চে আফগানদের প্রাপ্তির খাতাটা শূন্য। তবে দলীয় সক্ষমতার বিচারে শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করে আসছে তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এর আগের আসরের (২০২২) পর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুইবার, পাকিস্তানের বিপক্ষে এবং আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ জেতে আফগানরা। এছাড়াও সবশেষ এশিয়ান গেমসের পুরুষ ফরম্যাটের ফাইনালেও পৌঁছেছিল তারা, সেখানে শিরোপা জেতে ভারত। এতেই লারার এমন প্রেডিকশন মোটেও হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগটা নেই।
২০১৬ আসরে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় আফগানরা। নিজেদের শুরুর ম্যাচ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ রানে জিতেছিল তারা। তবে গ্রুপপর্বের বাকি তিন ম্যাচে হেরে সেই রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল এশিয়ার দলটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরের সবগুলো আসরের মূলপর্বেই খেলেছে রশিদ-মুজিবরা। তবে ২০২১ ও ২০২২ আসরে ১০ ম্যাচের জয়ের সংখ্যা স্রেফ ২। তবে পরিসংখ্যান দিয়েই আফগানদের বিবেচনা করাটা ছেলেখেলার মতোনই।
রশিদ-মুজিব-নবী-নূরদের নিয়ে শক্তিশালী স্পিন আক্রমণ, গুরবাজ-ইব্রাহিম-জাজাই-ওমরজাইদের নিয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং লাইনআপ। এই দুইয়ে মিলে যেকোনো দলকেই ভালো চ্যালেঞ্জ জানানোর সামর্থ্য রাখে দলটি। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে দশম অবস্থানে থাকলেও আফগানদের আলাদাভাবেই নজরে রাখবে গ্রুপপর্বের বাকি দলগুলো।
বিশ্বকাপে আফগানিস্তান আছে গ্রুপ ‘সি’-তে। সেখানে বাকি চার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি।
এক নজরে গ্রুপপর্বে উগান্ডার ম্যাচগুলো:
আফগানিস্তান-উগান্ডা, ৪ জুন (গায়ানা)
আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড, ৮ জুন ৮ (গায়ানা)
আফগানিস্তান-পাপুয়া নিউ গিনি, ১৪ জুন (ত্রিনিদাদ)
আফগানিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৮ জুন (সেন্ট লুসিয়া)
বিশ্বকাপের আফগানিস্তান দল: রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ ইসহাক, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব, করিম জানাত, নাঙ্গিয়াল খারোতি, মুজিব উর রহমান, নূর আহমদ, নাভিন-উল-হক, ফজলহক ফারুকী এবং ফরিদ আহমদ মালিক।
রিজার্ভ: সাদিক অটল, হজরতউল্লাহ জাজাই, সালিম সাফি।