‘বিভেদ’ কাটিয়ে আক্ষেপ মেটাতে পারবে পাকিস্তান?
ভারতের মতো পাকিস্তানের ভাগ্যটাও অনেকটা একই রকম, অন্তত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এই ফরম্যাটের বিশ্বআসরে পাকিস্তানের মতো ধারাবাহিক দল কমই আছে। এ পর্যন্ত আট আসরের ছয় বার খেলেছে সেমিফাইনালে। তিন বার ফাইনাল খেলে জিতেছে একবার।
বাবর আজমের অধীনে দলটা দুই বিশ্বকাপের দুবারই সেমির চৌকাঠ মাড়িয়েছে, একবার ফাইনাল খেলেও জিততে পারেনি। সে আক্ষেপটা এবার ঘোচানোর মিশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখছে পাকিস্তান।
তবে তার আগে দলটাকে ঘিরে গুঞ্জন, এক দলেই নাকি দুটো ভাগ হয়ে গেছে! যদিও পাকিস্তান ক্রিকেটের মগডালে বসা মহসিন নাকভি থেকে শুরু করে অধিনায়ক বাবর আজম বা সদ্য‘সাবেক’ অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি সবাই বিষয়টা উড়িয়ে দিয়েছেন তুড়িতে, তবু পাকিস্তান ক্রিকেট বলে কথা। অননুমেয় দলটা যে কখন আপনাকে চমকে দেবে, তার কল্পনাও আপনি করতে পারবেন না। তাই এই বিষয়টাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারেই।
এবার দলের দিকে চোখ ফেরানো যাক। শেষ কয়েক বছর ধরে বাবর আজমের সঙ্গে মোহাম্মদ রিজওয়ান হয়ে আছেন দলের ব্যাটিংয়ের ধ্রুবতারা। এবার তারা সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন সাইম আইয়ুব, ফখর জামান ও ইফতিখার আহমেদকে।
স্পিন বোলিং অপশন হিসেবে আছেন শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম ও আবরার আহমেদ। পেস বোলিংয়ে বিকল্পের অভাব নেই পাকিস্তানের। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আব্বাস আফ্রিদিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ আমিরের মতো অভিজ্ঞ একজন, পাকিস্তানের একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে যার অবদান ছিল অনেক বড়। পেস বিভাগটাকে সমীহ না করে পারা যাচ্ছে না তাই। সব মিলিয়ে স্পিন বিভাগে নির্ভরতা খানিকটা কম। তবু দলটা আশায় বুক বেধেছে শিরোপার, সে আশা পূরণ হবে কি না, সে প্রশ্ন তোলা রইল সময়ের কাছেই।
ব্যবধান গড়ে দেবেন যিনি- বাবর আজম
শেষ কিছু দিন ধরে বাবর আছেন একটু ব্যাকফুটে। ২০২৩ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর নানা নাটকের পর আবারও তিনি পাক ক্রিকেটের অধিনায়কের তখতে।
এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভালো-মন্দও টিকে থাকবে তার ব্যাটের ওপরই। এই ফরম্যাটটাতে বাবর বেশ ধারাবাহিক। ১১৮ ম্যাচে ৩৯৮৭ রান, গড়টাও ৪০ পেরোনো, স্ট্রাইক রেটটা বেশ ভালো, ১৩০ ছুঁইছুঁই। পাকিস্তানকে আইসিসি ইভেন্টে নেতৃত্ব দেওয়ার, সাফল্যের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার ঝুলিতে। স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে শেষ কয়েক বছরে, তবে তার ব্যাট হাসলেই যে পাকিস্তান হাসে, সেটা কে না জানে। তাই অননুমেয় পাকিস্তানকে সাফল্য পাইয়ে দিতে হলে তাকে নিজেও সফল হতে হবে এবার।
পাকিস্তান স্কোয়াড
কোচ: গ্যারি কারস্টেন
স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, উসমান খান, আজম খান, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আব্বাস আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ