নবম বিশ্বকাপে কিউইদের লক্ষ্য ‘প্রথম’
নক-আউট চোকার্স। ক্রিকেট বিশ্বে এই তকমাটি খুব ভালোভাবে যায় নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর ২০০৭-সহ ২০১৬ ও ২০২২ আসরে সেমি-ফাইনালে খেলেছিল কিউইরা এবং ২০২১ আসরে খেলেছিল ফাইনালে। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো সাদা বলের এই ফরম্যাটের বিশ্ব মঞ্চেও কখনো শিরোপাটা জেতা হয়নি তাসমান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশটির। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরও একটি আসর। সেখানে এবারও কিউইদের লক্ষ্য সেই ‘প্রথম’-এই, প্রথম কোনো বিশ্বকাপ শিরোপার।
বিশ্বকাপের গত আসরের পর থেকেই যেন ২০২৪ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করেছিল কিউইরা। ২০২২ বিশ্বকাপ দল থেকে এবারের দলে নেই কেবল দুইজন। অবসর নিয়েছেন মার্টিন গাপটিল এবং চোটের কারণে নেই অ্যাডাম মিলনে। এতে অনেকটা আগের আসরের দল নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসরে নামতে যাচ্ছে কিউইরা। এমনকি ২০২২ বিশ্বকাপের পর যতগুলো সিরিজ হয়েছে (আইপিএলের জন্য পাকিস্তান সিরিজ বাদে) সবগুলোতেই পূর্ণশক্তির দল নিয়েই খেলেছে তারা। এতেই বোঝা যায়, প্রথম শিরোপা জিততে কতটা মুখিয়ে নিউজিল্যান্ড।
এবারও কিউইদের নেতৃত্ব থাকছেন কেন উইলিয়ানসন। এ নিয়ে নিজের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন তিনি। এদিকে অভিজ্ঞতায় ঠাসা দলটির পেস বিভাগে আছেন ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসনরা। স্পিন আক্রমণে আছেন মিচেল সান্টনার ও ইশ সোধি। তবে গ্লেন ফিলিপসও বল হাতে মাঝে মধ্যে হয়ে ওঠেন কার্যকরী।
চোটে আইপিএল মিস করলেও বিশ্বকাপে ফিরছেন ডেভন কনওয়ে। সঙ্গে রাচিন রবীন্দ্র ও ফিন অ্যালেনের মতো তরুণ তারকা ব্যাটার। সব মিলিয়ে ব্যাটিংটাও বেশ শক্তিশালী কেন উইলিয়ামসনের দলের।
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড আছে গ্রুপ ‘সি’-তে। সেখানে বাকি চার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাপুয়া নিউ গিনি, উগান্ডা ও আফগানিস্তান।
এক নজরে গ্রুপপর্বে নিউজিল্যান্ডের ম্যাচগুলো:
নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান, ৮ জুন (গায়ানা)
নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৩ জুন (ত্রিনিদাদ)
নিউজিল্যান্ড-উগান্ডা, ১৫ জুন (ত্রিনিদাদ)
নিউজিল্যান্ড-পাপুয়া নিউ গিনি, ১৭ জুন (ত্রিনিদাদ)
বিশ্বকাপের নিউজিল্যান্ড দল: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল সান্টনা, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ইশ সোধি, টিম সাউদি।
রিজার্ভ: বেন সিয়ার্স।