আজই রিয়ালের ১৫?
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে আজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই লড়াইয়ে যখন নামবে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা, তখন তাদের চোখ থাকবে তাদের ইতিহাসের ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফিতে। ফাইনালের আগে মোমেন্টাম তো বটেই, রিয়াল মাদ্রিদ সঙ্গে পাচ্ছে ইতিহাসকেও।
ইউরোপে রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে প্রতিপক্ষ কে? উত্তরটা হবে বায়ার্ন মিউনিখ। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় রিয়াল ২২ বার মুখোমুখি জার্মান জায়ান্টদের। দ্বিতীয় দলটা জুভেন্টাস, ১৬ বার।
এরপরই আসে বরুসিয়ার নাম। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৪ বার রিয়াল মাদ্রিদের সামনে পড়েছে দলটা।
এবার আসুন জয় পরাজয়ের হিসেবে। এখানেই তো সবচেয়ে বড় ইতিহাসটা লুকিয়ে! চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৪ লড়াইয়ে বরুসিয়া মোটে ৩ বার জিতেছে রিয়ালের বিপক্ষে। বিপরীতে রিয়াল জিতেছে ৬ ম্যাচে, ড্র হয়েছে বাকি ৫ ম্যাচ। এই টুর্নামেন্টে তারা যে সব দলের মুখোমুখি হয়েছে, তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন জয়ের হার এই রিয়ালের বিপক্ষে (২১ শতাংশ)।
সবশেষ দেখাতেও বরুসিয়া হেরেছে রিয়ালের কাছে, তাও আবার দুই লেগেই। ২০১৭-১৮ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল শেষ বারের মতো। সেখানে বরুসিয়া নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলে হেরেছিল। রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের মাঠে জিতেছিল ৩-২ গোলে। যদিও একটা ক্ষীণ আশা ডর্টমুন্ডের আছে, সেটা হচ্ছে দুই দল একে অপরের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে জিততে পারেনি কখনো।
তবে পরের ফ্যাক্টটা দেখলে বরুসিয়ার আশার বেলুন চুপসে যেতে পারে আবার। এ নিয়ে ১৮ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বা ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে উঠল রিয়াল, যা প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ। শেষ ১৭ বারের ১৪ বারই জিতেছে দলটা। সবশেষ বার যখন ফাইনালে হেরেছিল রিয়াল, তখন গোটা দুনিয়ার চেহারাই অন্যরকম ছিল, সে ম্যাচটা যে ছিল ৪৩ বছর আগে, ১৯৮০-৮১ মৌসুমে।
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো ফাইনালে উঠল। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে প্রথম ফাইনালে উঠেই জিতেছিল দলটা, এরপর ২০১২-১৩ মৌসুমের ফাইনালে হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। এই ফাইনাল হচ্ছে জার্মান আর স্প্যানিশ দলের মাঝে। সবশেষ কোনো জার্মান আর স্প্যানিশ দলের ফাইনাল হয়েছিল ২০০২ সালে। সেবার জিতেছিল কারা জানেন? রিয়াল মাদ্রিদ, বেয়ার লেভারকুজেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে।
তাদের পেছনে এত্তো এতো ইতিহাস তো আছেই, সঙ্গে যোগ করুন কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তির ক্ষুরধার মস্তিষ্ককে, আর রিয়াল মাদ্রিদ দলটার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সুবাস পেয়ে গেলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে যাওয়ার বৈশিষ্ট্যটাকে। সব কিছু মিলিয়ে ইঙ্গিত মিলছে রিয়ালের ১৫তম শিরোপারই।