‘২৪ বলের মধ্যে ১২টিই ইয়র্কার করার চেষ্টা করি’
মাথিশা পাথিরানা। শ্রীলঙ্কার নতুন মালিঙ্গা বলা হয় তাকে। লাসিথ মালিঙ্গার মতোই বোলিং অ্যাকশন তার। গোড়ালি লক্ষ্য করে ইয়র্কার করা দারুণ পছন্দ তার। বোলিংয়ে স্লিঙ্গার অ্যাকশনও একইরকম। অনেকে তাকে শ্রীলঙ্কার বেবি মালিঙ্গা বলে ডাকে। এবারের বিশ্বকাপ, নিজের বোলিং অস্ত্র ইয়র্কার, চেন্নাই সুপার কিংস এবং মেন্টর মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে বলেছেন খোলামেলা কথা। তারই নির্যাস নিচে।
ভীষণ আগ্রহ নিয়ে আমি এবারের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে আছি। এই ফরমেটের ক্রিকেট আমার খুবই পছন্দের। বেশ স্বাছন্দ্যবোধ করি আমি টি- টোয়েন্টিতে।
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলাটা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। অভিজ্ঞতা দিয়েছে। সাফল্য দিয়েছে। অনেক কিছু শিখেছি আমি। আত্মবিশ্বাসী হতে পেরেছি। আমাকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সিএসকে কর্তৃপক্ষকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
চেন্নাই সুপার কিংসে এসএস ধোনির সঙ্গে খেলাটা অনেক বড় কিছু। তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে তার মতো এতো অভিজ্ঞ একজনের কাছ থেকে শিখতে পারাটা অনেক বড় বিষয়। এই পর্যায়ে তার মতো একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে একত্রে খেলতে পারাটাকে আমি ঈশ্বরের আর্শীবাদ বলে মনে করি। এই দলে ধোনির সঙ্গে খেলতে পেরে আমি অনেক অনেকভাবে উপকৃত হয়েছি।
টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য পেতে হলে আপনাকে নিজের খেলায় এবং কৌশলে অনেক বৈচিত্র আনতে হবে। আমার যেসব বোলিং অস্ত্র আছে তার সবকিছুই যে এখনো একেবারে পারফেক্ট হয়েছে তা কিন্তু নয়। যেমন আমার ইয়র্কার এখনো পারফেক্ট হয়নি। আমি সেটা অর্জনের জন্য এখনো অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। নিজেকে আরো নিখুঁত করার জন্য চেষ্টা করছি। ক্যারিয়ার শেষে যেন বলতে পারি যেন সাফল্যের হাসি হাসতে পারি। ম্যাচে আমার ২৪টি বলের মধ্যে আমি চেষ্টা করি অন্তত ১২টি ইয়র্কার করতে এবং সেটা যেন পারফেক্ট হয়, সেই চেষ্টাই করি।