শ্রীলঙ্কা উড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার পেস তোপে
শ্রীলঙ্কার ইনিংস টিকলো ১৯.১ ওভার পর্যন্ত। স্কোরবোর্ডে জমা তাদের মাত্র ৭৭ রান। সবমিলিয়ে বাউন্ডারি হলো তাদের ইনিংসে মোটে তিনটি। ছক্কার সংখ্যাও তাই। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান এলো ওপেনার কুশাল মেন্ডিসের ব্যাটে, ১৯। তাও আবার ৩০ বলে!
এবার ফিরি দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের দিকে। ৭৮ রানের জয়ের জন্য তাদের খেলতে হলো ১৬.২ ওভার পর্যন্ত। হারালো তারা ৪ উইকেট। ইনিংসে বাউন্ডারি মাত্র দুটি। ছক্কা ৩টি।
লো- স্কোরের ম্যাচ জিতলো তারা শেষমেষ ৬ উইকেটে। তবে যৎসামান্য টার্গেটের পেছনে ছুটতে নেমেও তারা নেয়ে ঘেমে একাকার! নিউইর্য়কের নাসাউ আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ড্রপইন পিচ সত্যিকার অর্থেই ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়েছে। সেই পরীক্ষায় শ্রীলঙ্কা ডাহা ফেল। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জিতে পাসমার্ক পাচ্ছে। কিন্তু তাদের ব্যাটিংয়ে যে এখনো অনেক ধার আনা বাকি সেই সত্যও জানা হলো এই ম্যাচে।
গোটা ম্যাচে দাপট দেখালেন বোলাররা। এবং সেটা দুই দলেরই। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার এনরিক নরকিয়া তার পুরো ৪ ওভারে বল হাতে যে আগুন ছড়ালেন তাতেই পুড়ে ছারখার শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রানে তার শিকার ৪ উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং এটি তার। চার ওভারের মধ্যে ১৮টি ডটবল। অর্থাৎ পুরো তিন ওভারে কোনো রানই দেননি নরকিয়া! কাসিগো রাবাদা ও স্পিনার কেশব মহারাজ দুটি করে উইকেট পান।
ব্যাটিংয়ের কোনো সময়ে শ্রীলঙ্কা সঙ্কট থেকে বেরুতে পারেনি। কোনো পার্টনারশিপই হলো না। দলের চারজন ব্যাটার রানের খাতাই খুলতে পারলেন না।
জয়ের জন্য ৭৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা নিরাপদ ব্যাটিংয়ের পথেই হাঁটলো। সামান্য সঞ্চয় নিয়েও শ্রীলঙ্কার বোলাররা ম্যাচে যেভাবে ঝাঁপালো তাতে আরেকবার পরিস্কার জানা গেল, শ্রীলঙ্কার একাদশে শক্তির জায়গা তাদের বোলিং।
ম্যাচে সবচেয়ে বড় ভুল শ্রীলঙ্কা করে এসেছিল ব্যাটিংয়ে। সেই ব্যর্থতায় আটকে থেকে তারা চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারলো। ৮ জুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে নামার আগে এই হারের দুঃসহ স্মৃতি ভালোই যন্ত্রণা দেবে ২০১৪ এর চ্যাম্পিয়নদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৭৭/১০ (১৯.১ ওভারে, কুশাল ১৯, নরকিয়া ৪/৭)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৮০/৪ (১৬.২ ওভারে, ডি কক ২০, হাসারাঙ্গা ২/২২)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: এনরিক নরকিয়া।