মুশফিকের যেই কথাটা এখনও কানে বাজে শরিফুলের
বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের দুশ্চিন্তার কারণ শরিফুল ইসলাম। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে আঙুলে চোট পেয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার। হাতে সেলাই লেগেছে ৬টি। তাতে করে বিশ্বকাপ শঙ্কায় পড়ে গেছে তার। তবে শরিফুলকে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী টিম ম্যানেজমেন্ট। কেননা, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস ইউনিটে তিনেই যে এখন মূল ভরসা। সেই শরিফুল এবার কথা বলেছেন বিসিবির সঙ্গেও। জানিয়েছেন বিশ্বকাপ নিয়ে তার ভাবনার কথা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের ১৫ স্বপ্ন সারথিকে নিয়ে একটি ভিডিও সিরিজ তৈরি করেছে বিসিবি। যা প্রতিদিন বিসিবির ফেসবুক পেইজে ‘গ্রিন রেড স্টোরি’তে প্রকাশিত হচ্ছে। সেই সিরিজেই এবার হাজির হয়েছেন শরিফুল ইসলাম। জানিয়েছেন বিশ্বকাপ নিয়ে তার ভাবনার কথা।
বিশ্বকাপ নিয়ে রোমাঞ্চের কথা জানিয়ে শরিফুল বলেন, ‘বিশ্বকাপটা আসলে দুনিয়ার সবাই দেখে। ওখানে সবারই নজর থাকে। এই ক্ষেত্রে আমার মনে হয় বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়াটা অন্যান্য সিরিজের থেকেও এক্সট্রা একটা অনুভূতি কাজ করে।’
সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ বোলিংয়ে মুগ্ধতা কাড়ছেন শরিফুল। হয়ে উঠেছেন দলের অন্যতম হাতিয়ার। ক্রিকেটে তার প্রেরণা কে। এমন প্রশ্নে শরিফুল জানান মুশফিকের কথা। বলেন নিউজিল্যান্ড সিরিজে মুশফিকের বলা একটা কথা এখনও কানে বাজে তার।
শরিফুল বলেন, ‘খেলার সময় বড় ভাইয়েরা অবশ্যই সাপোর্ট করে। যেমন আমি যখন নিউজিল্যান্ডে খেলতেসিলাম মুশফিক ভাই আমাকে একটা ভাল কথা বলসেন সেটা এখনো আমার কানে লাগে। সেটা সিক্রেটই থাক। এছাড়াও ফ্যামিলি আমাকে খুব বেশি সাপোর্ট করে আমার স্ত্রী বিশেষ করে। খেলায় যাওয়ার আগে সবসময় পজিটিভ কথা হয়। এরপর যখন মাঠে ঢুকি দুই একটা ওভার খারাপ যায়, তারপর চিন্তা আসে যে পরের ওভারগুলা ভাল করব।’
এবারই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন, বাংলাদেশ দলে এমন ক্রিকেটার যেমন আছে। তেমনি বিশ্বকাপের সবকটি আসরেই খেলেছে এমন ক্রিকেটারও আছে। সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়রদের বন্ডিংটা কেমন। এমন প্রশ্নে শরিফুল বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমরা দলে খুব কমই সিনিয়র জুনিয়র দেখি। সবাই মনে করি যে একটা ফ্যামিলি। ফ্রেন্ডের মত আচরণ। যেমন রিয়াদ ভাই কিন্তু সবার সাথে সবচেয়ে ভাল মিশে। উনি কিছু আমাদের চেয়ে সবচেয়ে বড়। এমনভাবে উনি মিশেন যে মনেই হয়না উনি আমাদের সাথে এত বয়সের পার্থক্য। উনি পুরা টিমটাকে চাঙ্গা করে রাখেন। মনে হয় এ খুব ছোট থেকেই আমরা একসাথে খেলতেসি এমন মনে হয়।’