শরিফুলের না থাকা দলের জন্য বড় ক্ষতি: তাসকিন
বিশ্বকাপের আগে দলের ব্যাটিং বিভাগ বেশ হতাশ করলেও বোলাররা আছেন ছন্দে। এবং সেই বোলিং বিভাগের সবচেয়ে ভরসাবান এক নাম শরিফুল ইসলাম। তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে অনাকাঙ্ক্ষিত এক চোটে তার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মূলপর্বে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে খেলা নিয়ে দাঁড়িয়েছে শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত এই বাঁহাতি পেসার ফিট না হয়ে উঠে তবে শরিফুলের এই অনুপস্থিতিকে দলের জন্য বড় ক্ষতি মানছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ।
গত মাসে জিম্বাবুয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে চোটে পড়েছিলেন তাসকিন। অবশ্য শঙ্কা কাটিয়ে বিশ্বকাপ দলে আছেন এই ডানহাতি পেসার। তবে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামার জন্য তাকেও এখনো পুরোপুরি ফিট বলছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। তার ওপর শরিফুলের চোট। দুইয়ে মিলে কার্যত বোলিং বিভাগের জন্য এটি বড়সড় ক্ষতিই।
গত ১ জুন ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে নিজের শেষ ওভার করার সময় হার্দিক পান্ডিয়ার একটি ফিরতি বল ঠেকাতে গিয়েই চোট পান শরিফুল। পরে ছাড়তে হয় মাঠ। এর আগে ৩ ওভার ৫ বলে স্রেফ ২৬ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। শরিফুলকে পরে নিয়ে যাওয়া হয় নাসাউ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে এবং তার হাতে লাগে ৬টা সেলাই।
গতকাল শরিফুলের পরিস্থিতি জানিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তাসকিন বলেন, ‘শরিফুলের বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। মাত্র একটা বল বাকি ছিল। তখনই (বল)হাতে লেগে হাত ফেটে গেছে। ওর ব্যাপারটা এখনই বলা কঠিন। ঘটনাটি মাত্র তিন দিন আগে। আশা করছি সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে আমরা এখনো কেউ কিছু বলতে পারছি না। হাতে যেহেতু সেলাই পড়েছে, সেটা ডাক্তাররাই বলতে পারবে।’
নতুন বলে বেশ কার্যকরী শরিফুল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও শুরুটা ভালো করেছিলেন তিনি। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসনকে। এতে দলের বাকি বোলাররা প্রস্তুত থাকলেও শরিফুলের না থাকা দলের জন্য বড় ক্ষতি বলেই মানছেন তাসকিন। ‘শরিফুল যদি না খেলতে পারে তাহলে এটা আমাদের বোলিং আক্রমণের জন্য বড় ক্ষতি। তবে বাকিরা প্রস্তুত। মোটামুটি সবাই ভালো ছন্দে আছি। যদি আমিও না খেলতে পারি, বাকি যারা আছে তারাও প্রস্তুত। আশা করছি যারাই খেলবে সেরাটা দিতে পারলে যথেষ্ট হবে।’