ডি কক-ক্লাসেনের তাণ্ডবে সাকিবদের সামনে রানের পাহাড়
পাওয়ারপ্লে যখন শেষ হলো, তখন কি এমন কিছু ভাবতে পেরেছিল বাংলাদেশ? কেনই বা ভাববে? ৪৯ রানে তুলে নেওয়া গিয়েছিল ২ উইকেট। ইনিংসে বাংলাদেশের হাসিমুখ টা মিলিয়ে গেছে সেখান থেকেই। প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই ডি কক ধরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাল। সাকিব আল হাসানদের বিন্দুমাত্র সুযোগ না দিয়ে করলেন ১৭৪। শেষ দিকে হাইনরিখ ক্লাসেনের তাণ্ডবে দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়ে গেছে ৩৮২ রানের বিশাল এক পুঁজি।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই তৈরি করে সুযোগ। দলীয় ১০ রানেই মিরাজের বলে আউট হতে পারতেন প্রোটিয়া ব্যাটার রিজা হেন্ডরিকস। কিন্তু স্লিপ ফিল্ডার তানজিদ তামিমের ভুলে তা আর হয়নি।
তবে টাইগারদের ব্রেক থ্রু এনে দিতে বেশি দেরি করেননি পেসার শরীফুল ইসলাম। দলীয় ৩৩ রানে হেন্ডরিকসকে বোল্ড করেন তিনি। এরপরের ওভারেই ইনফর্ম ব্যাটার রাসি ভান ডার ডুসেনকে আউট করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। যার ফলে, শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা।
তবে এরপরই উইকেটের আরেক প্রান্ত ধরে খেলতে থাকেন ডি কক। তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরি। তার ব্যাটিং তোপে নাকাল বাংলাদেশের বোলাররা, যেন কারও কাছেই এই ব্যাটাররের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কোনো জবাব নেই। খেলেছেন ১৭৪ রানের এক দানবীয় ইনিংস।
তাঁর বিদায়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস চারশোর কাছে যায় হাইনরিখ ক্লাসেনের তোপে। তিনি ৪৯ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাতেই দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়ে যায় ৩৮২ রানের পুঁজি।