বিশ্বকাপ-ভাগ্য-স্ট্রাগল… সাক্ষাৎকারে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশের ম্যাচ আরও দুই দিন পর। তার ঠিক আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদের এই বিশ্বকাপের স্বপ্নসারথীদের নিয়ে ধারাবাহিক ভিডিওবার্তা বানিয়েছে ‘রেড অ্যান্ড গ্রিন স্টোরি’তে। তার আজকের পর্বে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপের জন্য দেশ ছাড়ার আগে তিনি জানিয়েছেন বিশ্বকাপ নিয়ে, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা।
এই বিশ্বকাপে শেষ সুযোগ?
সুযোগ তো সবসময়ই থাকে। চেষ্টার আমাদের কোনো কমতি থাকে না। ইনশাল্লাহ হয়তোবা আমরা এবার ভাল কিছু করব।
ভালো মানে কী? শিরোপা?
ট্রফি জিনিসটার জন্য আমি বলব কিছুটা ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে। আমরা কয়েকটা মেগা ইভেন্টের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। আনফরচুনেটলি আমরা পারিনি। ইনশাল্লাহ দিস টাইম উই উইল ট্রাই এভ্রিথিং উই ক্যান।
এক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বিরতি দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে আবারও ফিরলেন। কেমন লাগছে?
ন্যাশনাল টিমকে রিপ্রেজেন্ট করা সেটা সিরিজ হোক মেগা ইভেন্ট হোক তা সবসময়ই স্পেশাল। যখন জার্সিটা পরি নতুন জার্সি পাই এটা অলওয়েস ফিল রিয়েলি গুড।
মাঝের সময়টায় কেমন স্ট্রাগল করেছেন?
স্ট্রাগল তো থ্রুআউট মাই ক্যারিয়ার কমবেশি ছিল। আমি সবসময়ই আল্লাহর উপর বিশ্বাস করি। আল্লাহর কাছেই সবসময় আমার যা কিছু বলার আমি বলি। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ হচ্ছেন বেস্ট প্ল্যানার।
ওই বিশ্বকাপে যখন সুযোগ পেলেন না, তখন কেমন লাগছিল?
আমার ভাল সময় খারাপ সময় সবকিছুরই শিক্ষনীয় বিষয় থাকে। ২০২২ টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ডকাপে যখন আমি ছিলাম না আই ফিল ব্যাড। আমার কাছে মনে হয়েছিল আমি টিমে থাকতে পারতাম। বাট এনিহাও হয়নি। ওটার জন্য আমার হার্ট ফিলিংসও নাই। আমি সমসময়ই আলহামদুলিল্লাহ বলি টিমের জন্য যতটুকু করতে পারি, আমার প্রেসেন্স দিয়ে হোক আমার পারফরম্যান্স দিয়ে হোক আমার এক্সপেরিয়েন্স দিয়ে হোক, আমার সর্বোচ্চটাই আমি নিংড়ে দেই।
ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন?
ওরকম প্ল্যান করে তো আসলে কিছু হয় না। খেলতে খেলতে ফ্যামিলির দোয়ায় মানুষের দোয়ায় পরিশ্রম করার চেষ্টা করি ভাল কিছু করার চেষ্টা করি। টিমকে ভাল সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের মানুষ অনেক আবেগপ্রবন। অনেক ফিলিংস নিয়ে উনারা খেলা দেখেন। উনারা চান আমরা ভাল করি। সবদিক বিবেচনায় আল্লাহ যে আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছেন তাই আলহামদুলিল্লাহ।
কার অনুপ্রেরণায় ক্রিকেটে এসেছিলেন?
আমার আপন ভাই, উনি ক্রিকেট খেলতেন। উনার হাত ধরেই আমার পথ চলা। আমার ছোটবেলার পথচলা শুরু, ক্রিকেটের হাতেখড়ি সবকিছুই উনার হাত মাধ্যমে। ভাইয়াই সবসময়ই আমার অনুপ্রেরণা ছিল।
কার খেলা বেশি ভালো লাগে?
সাইদ আনোয়ারের খেলা খুব ভাল লাগত। যখন আস্তে আস্তে খেলা বুঝতে শুরু করেছি, এম এস ধোনির খেলা খুব ভাল লাগে। আই এম রিয়েলি এ বিগ ফ্যান অফ হিম টু বি অনেস্ট। উনার টেম্পারমেন্ট উনার কামনেস অনেককিছু শেখার বিষয় আছে। এই জিনিসগুলা আমার ভাল লাগে।
পরিবার থেকে কেমন সমর্থন পান?
আমার ভাল সময় খারাপ সময় সবসময় আমার পাশে থাকে আমাকে সাপোর্ট করে। আমার বাচ্চারাও আমাকে অনেক ভালবাসে আলহামদুলিল্লাহ। সব বাচ্চাইরাই তার প্যারেন্টসকে ভালবাসে অবভিয়াসলি। স্পেশালি আমার বড় ছেলে এখন কিছুটা হলেও খেলা বুঝে। সে সবসময় চায় আমি ছয় মারি, ছয় মারলে সে খুশি হয়। আলহামদুলিল্লাহ ফ্যামিলি লাইফ হ্যাস বিন ভেরি গুড আলহামদুলিল্লাহ। আমার লাইফ পার্টনার, সি ইজ ভেরি সাপোর্টিং।
অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্ত কেমন?
(শান্ত) হি ইস এ ভেরি গুড লিডার। ভেরি গুড ক্যাপ্টেন, তার গেম সেন্স খুব ভাল। গেম এওয়ারনেস খুব ভাল। রিসেন্টলি সে ক্যাপ্টেন হিসেবে এপয়ন্টেড হয়েছে। উই নিড টু গিভ হিম টাইম এবং সি হাউ হি ডাস ইনশাল্লাহ। আই হোপ ওর যে লিডারশিপ কোয়ালিটি আছে ইনশাল্লাহ ও বাংলাদেশের জন্য ভাল করবে।
এই বিশ্বকাপ শেষে নামের পাশে কী দেখতে চান?
আমি আমার নাম নিয়ে কখনো চিন্তা করিনা, ইন্ডিভিজুয়াল গোল নিয়ে আমি কখনো সেভাবে চিন্তা করিনা। টিমের গোল যদি এচিভ হয় তাতেই আমি খুশি ইনশাল্লাহ।
গ্রুপ পর্বে নেপাল-নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ আছে। সে ম্যাচে কী প্রত্যাশা?
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, ইটস হার্ড টু সে। এটা পার্টিকুলার ডে তে যেকোনো টিমের গেম হতে পারে। আমাদের টিমের প্রিপারেশন আলহামদুলিলাহ উই হ্যাভ বিন ডুয়িং ওয়েল। লেটস সি। ইট অল ডিপেন্ডস হাও উই স্টার্ট। ইফ উই স্টার্ট ওয়েল ইনশাল্লাহ, উই আর গনা গো ফার ইনশাল্লাহ।