বিশ্বকাপে প্রথমবার বাংলাদেশি আম্পায়ার

বিশ্বকাপে প্রথমবার বাংলাদেশি আম্পায়ার

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি আম্পায়ার জায়গা করে নিলেন বিশ্বকাপে৷ শুক্রবার বিশ্বকাপের জন্য ১৬ জন আম্পায়ারের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। যেখানে আছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। বিশ্বকাপ শুরুত আগেই যেটা বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের কাছে একই সাথে গর্বের এবং আনন্দের ব্যাপার।

ক্রিকেট ক্যারিয়ার বাঁহাতি স্পিন করা এই আম্পায়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচ পরিচালনা করছেন প্রায় এক যুগেরও বেশী সময় ধরে। অবশেষে ঠাঁই হয়েছে আইসিসির বিশ্বআসরে।

বাংলাদেশি আম্পায়ারদের মাঝে সর্বোচ্চ নয়টি টেস্টে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন সৈকত। এছাড়াও ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৪৩ ম্যাচ অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি।

তবে এবার হতে যাচ্ছে ভিন্ন রকম অভিষেক। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটের কোনো বিশ্বকাপেই এর আগে বাংলাদেশী কোনো আম্পায়ার ম্যাচ পরিচালনা করার ডাক আসেনি।

আসন্ন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই তিনি থাকবেন চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে। টুর্নামেন্ট জুড়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ পরিচালনা করবেন মূল আম্পায়ার হিসেবেই।

বিশ্বকাপে যে ১৬ জন আম্পায়ার ম্যাচ পরিচালনা করবেন তাদের ১২ জন আইসিসির এলিট প্যানেলের। এই প্যানেলের বাইরে থেকে আম্পায়ার রাখা হয়েছে চার জন। যেখানে আছেন বাংলাদেশের সৈকত। অর্থাৎ তিনি যে আইসিসির সুনজরেই আছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনাকারী আম্পায়ার:
শরফুদ্দৌলা সৈকত (বাংলাদেশ), ক্রিস ব্রাউন (নিউজিল্যান্ড), ক্রিস গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড),
রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), মারিয়াস ইরাসমাস (দক্ষিণ আফ্রিকা), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), পল রেইফেল (অস্ট্রেলিয়া), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড ক্যাটলবরো (ইংল্যান্ড), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), আহসান রাজা (পাকিস্তান), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), পল উইলসন (অস্ট্রেলিয়া), অ্যালেক্স ওয়ার্ফ (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত)।

সম্পর্কিত খবর