পাকিস্তানকে স্তব্ধ করে যুক্তরাষ্ট্রের অবিস্মরণীয় জয় 

  • স্পোর্টস বাংলা রিপোর্ট
  • ০১:৫৬ এএম | ০৭ জুন, ২০২৪

একে কি আপনি ঠিক অঘটন বলবেন?

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে ওভাবে উড়িয়ে দেওয়া, এরপর প্রথম ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে অমন ‘স্টেটমেন্ট উইন’ এর পর তা হয়তো বলা যায় না। কিন্তু পাকিস্তানকে এভাবে পাত্তা না দিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র, তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেননি আপনি। নিজ আঙিনায় আমেরিকানরা তাই বাস্তবে রূপ দিয়েছে।

জয়টা এমনিতেই অবিস্মরণীয়। বিশ্বকাপের বর্তমান রানার্স আপদের হারানো তো চাট্টিখানি কথা নয়! তবে যে ঢঙে কাজটা সারল তারা, তা ম্যাচটাকে দিয়েছে বাড়তি রঙ। যুক্তরাষ্ট্রের এই জয় এসেছে সুপার ওভারে, রোমাঞ্চের চূড়ান্তটা দেখিয়ে তবেই। আর তাতে প্রথম বিশ্বকাপেই সুপার এইটে খেলার অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছে গেল নবাগত দলটা। 

কথায় আছে মর্নিং শোজ দ্য ডে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে যুক্তরাষ্ট্র তাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। ২৬ রানে পাকিস্তানের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের উইকেট তুলে নিয়ে জানান দিচ্ছিল, আজকের দিনটা তাদেরই।

পাকিস্তানও কম চেষ্টা করেছে কোথায়? বাবর আজম আর শাদাব খান মিলে ৪৮ বলে ৭২ রানের জুটিতে ধাক্কাটা সামলানোর চেষ্টা করলেন। ২৫ বলে ৪০ করে শাদাবের বিদায়ের পর আবারও ধস নামে পাক ইনিংসে। বাবরও ৪১ বলে ৪৪ করে ফিরলে শঙ্কায় পড়ে দলটার লড়াকু স্কোর পাওয়ার আশা। কিন্তু শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদির ১৬ বলে ২৩ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান শেষমেশ ১৫৯ রানের পুঁজি পেয়েই যায়।

তবে তা যে মোটেও পর্যাপ্ত নয়, তার জানান শুরু থেকেই দিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। স্টিভেন টেলর শুরুতে বিদায় নিলেও অধিনায়ক মোনাঙ্ক সিং আর আন্দ্রিস গুসের ৭৮ রানের জুটি দলটাকে রেখেছিল জয়ের কক্ষপথে। দুজন দ্রুত বিদায় নিলে পাকিস্তান আবারও ম্যাচে ফেরে। 

শেষমেশ অ্যারন জোন্সের ২৫ বলে ৩৬ রান আর নিতিশ কুমারের ১৪ বলে ১৪ রানে ভর করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইনিংস শেষ করে ঠিক ১৫৯ রানে। ফলে ম্যাচটা গড়ায় সুপার ওভারে। 

সেখানে আবার কয়েক প্রস্থ নাটক হলো। মোহাম্মদ আমির প্রথম বলে চার হজম করলেন। এরপর আবার করে বসলেন একই ওভারে তিনটা ওয়াইড, যা থেকে রান এল সব মিলিয়ে ৭। সে ওভারে আর বাউন্ডারি হজম করেননি তিনি, তবে রান হজম করেন ১৮টি।

পাকিস্তানের আশা তখনও শেষ হয়ে যায়নি। দলে যে আছেন ইফতিখার আহমেদ, ফখর জামান আর শাদাব খানদের মতো স্ট্রোকমেকার! নেত্রভালকরের দ্বিতীয় বলে যখন মিড উইকেটের ওপর দিয়ে চার মেরে বসলেন ইফতিখার, তখন ইফতি ম্যানিয়ায় চড়ে পাকিস্তান জয়ের আশায় বিভোর। কিন্তু তিনি আউট হলেন একটু পরই। শাদাব উইকেটে এলেন যখন, পাকিস্তানের তখন চাই তিন বলে ১৩। শাদাব ফলস শটে চার পেয়ে গেলে সমীকরণটা নেমে আসে ২ বলে ৭এ। পঞ্চম বলে এল দুই রান।

আরও একটা সুপার ওভার মাঠে গড়াতে হলেও পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল একটা ছক্কা। সেটা আর শেষ বলে নিতে পারেননি শাদাব। ঐতিহাসিক এক জয়ের আনন্দে মাতে যুক্তরাষ্ট্র।

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :