জিতলে বুনো উল্লাস করতাম: মাহমুদউল্লাহ
কত কি পেরিয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে হয়েছে; মাহমুদউল্লার চেয়ে ভালো কেই বা আর জানে। বিশ্রামের নামে লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও হতাশায় তলিয়ে যাননি। নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন, সুযোগ পেলে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে গেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে একা লড়াই চালিয়ে তুলে নিয়েছেন চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি। যদিও সতীর্থদের ব্যর্থতায় জয় পাননি। সেই আক্ষেপের কথায় ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন তিনি।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৫৮ রানে পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে যখন লজ্জায় পড়ার হুমকি জেঁকে বসেছিল; সেখানে মাহমুদউল্লাহ টেলেন্ডারদের নিয়ে লড়াই করে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন ২৩৩ এ। নিজে ব্যাট হাতে ১১১ বলে ৪টি ছয় ও ১১টি চারে করেছেন ১১১ রান। সব সমালোচনার জবাব দেওয়া এমন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে উদযাপনটাও করেছেন আগ্রাসী ভঙ্গিমায়।
ম্যাচ শেষে তাই প্রশ্ন ছিল দীর্ঘদিন দলে না রাখায় এমন সেঞ্চুরি করে উল্লাস করা তার নীরব প্রতিবাদ কি-না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘না, এটি কোন প্রতিবাদের ভাষা ছিল না। ১০০ হয়েছে। এটা শুধু সেলিব্রেশন ছিল। যদি জিততে পারতাম তাহলে বুনো উল্লাস করতাম।’
দীর্ঘ বিশ্রামের প্রশ্নে রিয়াল বলেন, ‘বিশ্রামটা মনে হয় একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। যদিও এটা আমার হাতে নেই। এটা নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত। আমার কাজ হলো নিজেকে প্রস্তুত রাখা। যা আমি সততার সাথে করতে চাই, আর এটাই আমার কাজ। আমি এটাই করতে চাই।’
বিশ্বকাপের এই সেঞ্চুরিটি রিয়াদ উৎসর্গ করেছেন তার পরিবার ও দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো সমর্থকদের। যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা আমাকে ওই সময় সাপোর্ট করেছেন, আপনাদের মধ্য থেকে। তাদের ধন্যবাদ। আর যারা করেননি তাদেরও ধন্যবাদ। আর এই সেঞ্চুরিটি আমি আমার পরিবার ও দুঃসময়ে পাশে থাকা আমার ভক্তদের উৎসর্গ করতে চায়।’