পাকিস্তানকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক বললেন, ‘এটি বড় প্রাপ্তি’ 

পাকিস্তানকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক বললেন, ‘এটি বড় প্রাপ্তি’ 

বিশ্বকাপের মূলপর্বে নামার আগে যুক্তরাষ্ট্র দলের অভিজ্ঞতার খাতায় ছিল কেবল ২৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। এর মধ্যেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে জয়ের অভিজ্ঞতা হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের। আসরের সহ-আয়োজক দলের সুবাদে বাছাইপর্বের ঝামেলা ছাড়াই মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেয়ে যায় তারা। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় আত্মবিশ্বাসটা স্বাভাবিকভাবেই বাড়িয়েছিল তাদের। পরে বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচের রেকর্ডগড়া জয় তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য সেখানে প্রতিপক্ষ ছিল তাদের সমান শক্তিশালী কানাডা। তবে এবার রীতিমত সবাইকে অবাক বনে পাঠাল মোনাঙ্ক প্যাটেলের দলটি। আসরের অন্যতম শক্তিশালী ও সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারিয়ে দিয়েছে তারা। 

শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, মোহাম্মদ আমির ও নাসিম শাহ। তর্কসাপেক্ষে আসরের বাকি ১৯ দলের কারো এতো শক্তিশালী পেস লাইন-আপ নেই। তবে সময়ের সেরা এই পেসারদের সামনে মোটেও ভড়কে যায়নি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। রান তাড়ায় ৩ উইকেটে পাকিস্তানের সমান ১৫৯ রান তোলার পর, সুপার ওভারে ১৮ রান তোলে স্বাগতিকরা। পরে সেই লক্ষ্যে শাদাব-ইফতিখাররা পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে জয় তুলে ‘সুপার এইট’ এর দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। 

প্রতিপক্ষ যখন পাকিস্তান এবং তাদের বিশ্বসেরা বোলারদের মোকাবেলা করে আনাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন জয় কার্যত বড়সড় অর্জনই। এমনটা জানালেন খোদ দলটির অধিনায়ক মোনাঙ্ক। মূল ইনিংসে ৩৮ বলে ৫০ রান করে ম্যাচসেরা খেতাবটা জিতেছেন তিনিই। পরে ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এমন জয়ের অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই পাকিস্তানকে হারানো, এটি একটি বড় প্রাপ্তি। এটি দলীয় পারফরম্যান্স ছিল। আমরা কন্ডিশনটা ভালোভাবে ব্যবহার করেছিল। তাদের ১৬০ রানে আটকে রাখা, যা তাড়া করা সম্ভব ছিল। আমি নিজের অবদান নিয়েও খুশি এবং ম্যাচে জয়ী হতে পেরেও অনেক খুশি।’ 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমেই জয়ের দেখা পেল যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপ ‘এ’-তে এখন পর্যন্ত তারাই শীর্ষে। দুই ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। তাদের পরের ম্যাচে আগামী ১২ জুন, ভারতের বিপক্ষে। 

সম্পর্কিত খবর