লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সাকিব বন্দনা
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শনিবার সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ দলের অনেক ক্রিকেটারের জন্যই এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের অভিষেক ম্যাচ। অন্যদিকে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে নবমবারের মতো হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নামবেন সাকিব আল হাসান। রোহিত শর্মার পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে গড়বেন এমন কীর্তি।
বিশেষ এই দিনটিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছে আইসিসি। যেখানে সাকিবকে নিজেদের অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখার কথা জানিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলাম। ওই ভিডিওতে সাকিব নিজেও জানিয়েছেন এমন অর্জনে কতটা গর্বিত তিনি। সঙ্গে জানিয়েছেন বিশ্বকাপ নিয়ে তার ভাবনার কথাও।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। উইকেট তোলার দিক দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে। ফিফটি থেকে মাত্র ৩ উইকেট দূরে সাকিব। এ তালিকায় সাকিবের পরে অবস্থান পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির। বিশ্ব মঞ্চে ৩৯ উইকেট নেওয়া এই পাকিস্তানি অবশ্য অনেক আগেই বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটকে। সে হিসেবে সাকিবকে এই বিশ্বকাপে ছুঁতে পারে এমন বোলার নেই। বর্তমানে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবের পরে অবস্থান লঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার। ১৭ ম্যাচে ৩৩ উইকেট তার। কাজেই এই বিশ্বকাপে সাকিবকে ছুঁয়া এক রকম অসম্ভবই বলা যায়।
এমন অর্জনে সমৃদ্ধ সাকিবকে তাই বিশেষ সম্মানই দেখাল সতীর্থরা। সাকিবকে নিয়ে পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘সাকিব আল হাসান মানে কিংবদন্তি। নিজের ধরনে ক্রিকেট খেলেও কিভাবে বিশ্ব ক্রিকেটে বড় তারকা হওয়া যায় তিনি সেই উদাহরণ তৈরি করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং আমাদের জন্য ওই নমুনা দেখিয়েছেন।’
শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। সিনিয়র-জুনিয়র সবাইকে তিনি অনেক ভালোভাবে সমর্থন করেন। তার সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করতে পারা আমাদের জন্য গর্বের।’
সাকিবে মুগ্ধতার কথা জানিয়ে তানজিম সাকিব বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ভালো পারফর্ম করে আসছেন সাকিব ভাই। যা এখনও বজায় রয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে হয় এবং আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হয় যেভাবে। তিনি সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন, যা আমাদেরও অনেক অনুপ্রাণিত করে।’
পরিশেষে সাকিব নিজেও তার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে রেখেছেন সামনে আরও বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছের কথা। সাকিব বলেন, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে খেলতে পেরে আমি নিজেকে বিশেষ মনে করছি। সব আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি অনেক গর্বিত ও খুশি। বিশ্বকাপ আসরগুলোতে আমি অনেক বেশি স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আশা করি আরও কয়েকটা আসর আসছে।’