আইরিশদের হতাশ করে কানাডার ঐতিহাসিক জয়

আইরিশদের হতাশ করে কানাডার ঐতিহাসিক জয়

টুর্নামেন্টটা বুঝি ইতিহাস গড়ার মঞ্চই বনে গেছে রীতিমতো। যুক্তরাষ্ট্র, উগান্ডার পর বিশ্বকাপ ইতিহাসে নিজেদের প্রথম জয়টা তুলে নিল কানাডাও। আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে ১২ রানে। আর তাতে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আশাটা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রাখল ম্যাপল পাতার দেশটা। 

এই হারের ফলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বিজিত দলে থাকতে হলো আইরিশদের। ফলে টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায়টাও অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেল আজ।

নিক কার্টনের ৩৫ বলে ৪৯ রানের ইনিংসে ভর করে শুরুতে ব্যাট করা কানাডা স্কোরবোর্ডে পায় ১৩৭ রানের পুঁজি। আয়ারল্যান্ডের ব্যারি ম্যাকার্থি নেন ২৪ রান খরচায় ২ উইকেট। টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকে নিউ ইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট কাউন্টি মাঠে এর চেয়ে বেশি রান আর হয়নি একটাও।

নাসাউ কাউন্টির মাঠটা বেশ ট্রিকি। এখানে রান করতে হলে খেলতে হয় খানিকটা সমঝে। তবে আইরিশরা তা পারেনি। বল হাতে পাওয়া মোমেন্টামটা তারা ব্যাট হাতে কাজে লাগাতে পারেনি। 

৫৯ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসেছিল এক পর্যায়ে। সেখান থেকে দলটা আর মাত্র একটা উইকেট খুইয়ে ১২৫ রান পর্যন্ত গেছে মার্ক অ্যাডেয়ার আর জর্জ ডকরেলের ব্যাটে চড়ে। দুজন মিলে সপ্তম উইকেটে গড়েন ৬২ রানের জুটি। তাতে আইরিশদের আশাও বাড়তে থাকে একটু একটু করে।

তবে সেটা ততটাও নয়, যতটা হলে ম্যাচটা হাতে নিয়ে আসা যায়। ৬ থেকে ১৫ ওভার পর্যন্ত আইরিশদের কোনো বাউন্ডারিই হাঁকাতে দেয়নি কানাডা। 

শেষ ওভারে তাই দরকার পড়ে ১৭ রান। এমন মুহূর্তে ৩৪ রান করা অ্যাডেয়ার বিদায় নিলে আইরিশদের আশা শেষ হয়ে যায়। ৩০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা ডকরেল ম্যাচটা আইরিশদের জিতিয়ে ফিরতে পারেননি। ১২ রানে হারতে হয় দলটাকে, কানাডা তুলে নেয় তাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক জয়। 

এই ম্যাচের পর আইরিশরা চলে গেছে খাদের কিনারে। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে পরের দুই ম্যাচে পাকিস্তান আর যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে হবে দলটাকে, অন্য ম্যাচ গুলোর ফলাফলের দিকেও চেয়ে থাকতে হবে তাদের। 

 

সম্পর্কিত খবর