কিউইদের বিপক্ষে এমন জয় আফগানদের ‘অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স’
ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপ্স। টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় বিশ্বকাপের ২০ দলের অন্যতম শক্তিশালী টপ টু মিডল অর্ডার ব্যাটিং লাইন-আপ। তবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের দশে থাকা আফগানিস্তানের সামনে কিউইদের এমন ব্যাটিং লাইন-আপ কোনো পাত্তাই পেল না। কিউইদের বিপক্ষে রশিদ-নবী-ফারুকিদের বোলিংয়ে এমন পারফর্ম নিঃসন্দেহে সেরা কিছু। এদিকে বোল্ট, হেনরি, ফার্গুসনদের পেস সামলে ব্যাটিংয়েও দারুণ পারফর্ম করেছে আফগানরা। দুইয়ে মিলে রশিদ-গুরবাজদের এমন দলীয় পারফরম্যান্স তাদের লম্বা সময় ধরেই মনে থাকবে। এমনকি অধিনায়ক রশিদ খানের কাছে তো এটি তাদের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্সের একটি।
আফগানদের দেওয়া ১৬০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্রেফ ৭৫ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইরা। এতে ৮৪ রানের বড় জয়ে বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচেই জিতল রশিদ খানের দল।
ম্যাচশেষে অবিস্মরণীয় এই জয়ের অনুভূতি প্রকাশ করে তাই রশিদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা আমাদের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্সগুলোর একটি। দারুণ দলীয় প্রচেষ্টা।’
ম্যাচ জয়ে স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছে বোলাররা। তবে ব্যাট হাতে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ৮০ রানের দারুণ ইনিংসটিও প্রশংসার দাবী রেখে। রশিদও করেছেন সেটিই। একই সঙ্গে এমন দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নিজেকে গর্বিতও ভাবছেন। ‘ইব্রাহিম এবং গুরবাজ দারুণভাবে শুরু করেছিল। ৭ থেকে ১০ ওভারের মধ্যে তারা নিজেদের উইকেট হারায়নি। আফগানিস্তানের জন্য দারুণ এক জয়। এই দলের নেতৃত্ব দেওয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতাটা অনেক বড় সম্মানের।
পেস-স্পিন মিলিয়ে বেশ শক্তিশালী বোলিং বিভাগের জানান দিচ্ছে আফগানরা। এমন বোলিং ইউনিট নিয়ে তাই যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত রশিদ খানের দলটি। ‘আমাদের যে বোলিং ইউনিট আছে, আমরা যদি সেটির সঠিক ব্যবহার করতে পারি, তবে প্রতিপক্ষের জন্য ১৬০ রান করা কঠিন হবে। এটা আমাদের সবাইকে শক্তি দিয়েছে।’
উগান্ডার পর এবার কিউইদের বিপক্ষে জয়, দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে গ্রুপ-সি এর শীর্ষে আছে আফগানরা। এতে তাদের সুপার এইটের রাস্তা যেন এখন কেবল সময়ের দাবী। গ্রুপপর্বে তাদের পরের দুই ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে। সেই ম্যাচ দুটির যেকোনো একটিতে জিতলে পরের রাউন্ডে আফগানদের জায়গা একবারেই নিশ্চিত।