বিদায়ের ঘণ্টা বাজছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের
প্রথমবারের মতো ২০টি দল খেলছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ৫টি করে দল নিয়ে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে দলগুলোকে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল যাবে সুপার এইটে। সেই দলগুলো হতে যাচ্ছে কারা। আর কারাই বা বাদ পড়ছে এ তালিকা থেকে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কেননা, এখনও কারোরই সুপার এইট নিশ্চিত হয়নি কিংবা কেউই এই রেস থেকে বাদ পড়েনি। তবে বড় দলগুলোর মধ্যে সুপার এইটের তালিকা থেকে ছিটকে যাওয়ার দিক দিয়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড। চলুন সেই হিসেব মেলায়।
সুপার এইট নিশ্চিত করতে প্রতিটি দলকে গ্রুপপর্বে তিনটি করে ম্যাচ জিততে হবে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে সেটা দুই ম্যাচেও নেমে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে রান রেটের হিসেব। তবে তিনটি জয় পেলে কোনো রকম হিসেব ছাড়ায় কোনো দল উঠে যাবে সুপার এইটে। আর এখানটাতেই সমীকরণ জটিল করে ফেলেছে বড় দলগুলোর অনেকে।
এই যেমন ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দল শ্রীলঙ্কা গ্রুপপর্বে প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরে বসেছে। আর তাতে করে শঙ্কায় পড়ে গেছে তাদের সুপার এইটে খেলা। এখন সুপার এইট নিশ্চিত করতে পরের দুই ম্যাচ জয় ও নেট রান রেটে বাড়াতে হবে তাদের। সঙ্গে প্রার্থনা করতে হবে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারের। গ্রুপ ডি তে লঙ্কানদের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেপাল ও নেদারল্যান্ডস।
এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট হিসেবে গণ্য করা হচ্ছিল পাকিস্তানকে। তবে গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারের পর সুপার এইটের সমীকরণটা কঠিন করে ফেলেছে তারা। এখন সুপার এইট নিশ্চিত করতে বাকি তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিততে হবে বাবর আজমের দলকে। এর মধ্যে আগামীকাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে পাকিস্তানকে। আর সেই ম্যাচটি হেরে বসলে সুপার এইটে খেলার স্বপ্নটা শেষ হয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের। কেননা, এরইমধ্যে এই গ্রুপ থেকে দুটি জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আসরের অন্যতম হট ফেভারিটদের একটি নিউজিল্যান্ড। তবে আফগানদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হেরে বসেছে দলটি। আর তাতেই শঙ্কায় পড়ে গেছে তাদের সুপার এইটে খেলা। কেননা, এই গ্রুপে এখনও তাদের লড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। দু’বারের বিশ্বকাপ জয়ীদের বিপক্ষে তাদের মাঠে জয় নিশ্চয় সহজ হওয়ার কথা নয় নিউজিল্যান্ডের। আর সেটি হলে বেশ বিপদেই পড়তে হবে কিউইদের।
তবে এখনও যেহেতু সামনে সুযোগ আছে এই দলগুলোর সামনে। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিশ্চয় সুপার এইটে জায়গা পেতে চাইবে তারা। তবে সেটা শেষ পর্যন্ত হবে কিনা তা অবশ্য বলবে সময়।