মিলারের ব্যাটে স্বস্তি পেল দক্ষিণ আফ্রিকা

মিলারের ব্যাটে স্বস্তি পেল দক্ষিণ আফ্রিকা

বড় বিপদেই পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ রানে নেই ৩ উইকেট। খানিকবাদে অবস্থা দাঁড়াল ১২ রানে হাওয়া ৪ উইকেট। পাওয়ার প্লে কাটলো ভয়ে আর আতঙ্কে। স্কোরবোর্ডে তাদের যোগাড় তখন ৪ উইকেটে মোটে ১৬! অথচ জয়ের জন্য টার্গেট অল্প, ১০৪ রানের। সেই মামুলিতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে গিয়ে শুরুতেই ঘাম ছুটে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার। মনে হচ্ছিল আরেকটি অঘটনের জন্ম বোধহয় হচ্ছে চলতি বিশ্বকাপে। নেদারল্যান্ডস ১০৩ রানে গুটিয়ে গেলেও বোলিংয়ে দারুণ তেজি হয়ে ফিরে। ডাচদের সেই বোলিং তেজে শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার টপঅর্ডার পুরোদুস্তর ডিসঅর্ডার!

১২ রানে ৪ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য শেষ পর্যন্ত অঘটনের হাত থেকে রক্ষা পায়। দলকে ৪ উইকেটের জয় এনে দেন ডেভিড মিলার। অনেকদিন পরে ব্যাট হাতে বড় কোনো আসরে দলকে জেতালেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার।

নিউইয়র্কের নাসাউ আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট ক্রমশই রহস্য ছড়াচ্ছে। এখানে রানই তুলতে পারছেন না ব্যাটাররা। বড় শট খেলা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। বল দেরিতে ব্যাটে আসছে। অসমান বাউন্স ব্যাটাররা সামাল দিতে পারছেন না। এই উইকেট ব্যাটারদের সত্যিকার অর্থেই স্কিলের পরীক্ষা নিচ্ছে। সেই কঠিন পরীক্ষায় দক্ষিণ আফ্রিকা উতরে গেল এই ম্যাচে।

এই জয়ের ফলে টানা দুই ম্যাচ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন ‘ডি’ গ্রুপে লিডার। সুপার এইটের টিকিট বোধকরি পেয়েই গেল প্রোটিয়েরা।

নিউইয়র্কে টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা আগে বোলিং বেছে নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১০৩ রানে আটকে যায় নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। বার্টম্যান ১১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। রান তাড়ায় নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও শুরুতে চোখে শর্ষে ফুল দেখে। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার মশাল জ্বালিয়ে ডেভিড মিলার দলকে ৪ উইকেটের জয় এনে দিয়ে সুপার এইটের পথে এগিয়ে দিলেন অনেক দুর। মিলার ৫১ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় সঙ্কট থেকে উদ্ধার করে স্বস্তির জয় এনে দেন।

সম্পর্কিত খবর