ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে সুপার এইটের পথে অস্ট্রেলিয়া

ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে সুপার এইটের পথে অস্ট্রেলিয়া

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও ওয়ানডের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। সাদা বলের দুই ফরম্যাটের দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের লড়াইকে হাইভোল্টেজ ম্যাচের তকমা না দিয়ে আর উপায় কই। সেখানে চলতি আসরের রান খরা কাটিয়ে অবশেষে রান উৎসব দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। ব্যাটিংয়ে দলীয় পারফর্মের পর বোলিংটাও নিয়ন্ত্রণে ছিল অজিদের। এতেই ইংলিশদের ৩৬ রানে হারিয়ে আসরের টানা দুই ম্যাচে জিতল মিচেল মার্শের দল। 

এই জয়ের সুপার এইটের রাস্তা অনেকটাই সহজ হয়ে গেল ২০২১ আসরের চ্যাম্পিয়নদের। ওমানের বিপক্ষে ৩৯ রানের জয় দিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন শুরু করেছিল কামিন্স-ওয়ার্নাররা। এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে পরের রাউন্ডে জায়গা অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলল অজিরা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-’বি’ এর শীর্ষে আছে তারা। গ্রুপপর্বে তাদের বাকি দুই ম্যাচ নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এতেই সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার জায়গা প্রায় নিশ্চিতই। 

এদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সুপার এইটের রাস্তা হলো আরও কঠিন। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাটলারদের প্রথম ম্যাচ ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। এবার অজিদের বিপক্ষে হার। বাকি দুই ম্যাচ নামিবিয়া বা ওমানের বিপক্ষে কোনো একটিতে হোঁচট খেলেই হয়তো গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হবে আগের আসরের চ্যাম্পিয়নদের।  

কেনসিংটন ওভারে গত রাতের ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। সেখানে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২০১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ রান উৎসবের আইপিএল প্রায় প্রতিদিনই দেখা মিলছিল দুইশ পেরোনো সংগ্রহের। তবে রান খরার এই বিশ্বকাপের ১৭তম ম্যাচে এসে অবশেষে দুইশ পেরোনো সংগ্রহ দেখল কোনো দল। 

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাও বেশ ভালো পেয়েছিল ইংলিশরা। ৭ ওভারেই বিনা উইকেটে ৭৩ রান তুলে ফেলে দুই ওপেনার জশ বাটলার ও ফিল সল্ট। তবে নিজের পরপর দুই ওভারে পিচে থিতু হওয়া এই দুই ওপেনারকে ফেরান অ্যাডাম জ্যাম্পা। ২৩ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন সল্ট এবং ২৮ বলে বাটলার ফেরেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান। মূলত তাদের ফেরার পরই রানের গতি থেমে যায় ইংলিশদের। দ্রুতই ফেরেন উইল জ্যাকস ও জনি বেয়ারস্টো। স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ১২৪ রান । পরে মঈন আলী ও হ্যারি ব্রুক কিছুটা লড়াই চালালেও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন অজি বোলাররা এবং ৬ উইকেটে ১৬৫ রানের থামেই ইংলিশদের ইনিংস। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে থাকেন দুই অজি ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। ২৯ বলেই স্কোরবোর্ডে তোলেন ৭০ রান। তবে পাঁচ বলের ব্যবধানে দুজনেই ফেরেন বোল্ড হয়ে। মঈনের লোয়ার লেংথের বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। ১৬ বলে তিনি করেন ৩৯ রান। এদিকে আর্চার বোল্ড করেন হেডকে (৩৪)। টপ-মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটাররা এদিন পেয়েছেন রান। অধিনায়ক মার্শের ৩৫, ম্যাক্সওয়েলের ২৮, স্টয়নিসের ৩০ এবং শেষ দিকে ওয়েডের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত দুইশ পেরোনো লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়া। সেখানে ইংল্যান্ডে হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান।  

সম্পর্কিত খবর