উগান্ডাকে স্রেফ ৩৯ রান থামিয়ে রেকর্ড জয় ক্যারিবীয়দের
পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে জয়টা তুলতে একদম ঘাম ঝরে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেই পিএনজি হারিয়েই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো জয়ের দেখা পায় উগান্ডা। তবে সেই উগান্ডা এবার ব্যাটে-বলে দুইয়েই কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারল না ক্যারিবীয়দের সামনে। ১৭৪ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে অলআউট হয়ে গেল স্রেফ ৩৯ রানে। এতে ১৩৪ রানে বিশাল জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আসরের টানা দুই ম্যাচেই জিতল সহ-আয়োজক দলটি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ক্যারিবীয়দের সর্বোচ্চ রানের জয়। এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ব্যবধানে জয়। এর আগে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ২০০৭ সালে কেনিয়াকে ১৭২ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা, সেটিই এখন পর্যন্তও আছে শীর্ষে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা উগান্ডা নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচের জয়টা পেয়েছিল আগের ম্যাচেই, পিএনজির বিপক্ষে। তবে নিজেদের পরের ম্যাচের আফ্রিকান দলটিকে লজ্জার রেকর্ডে ডুবাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উগান্ডার এই ৩৯ রানের এই সংগ্রহ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বনিম্ন সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমান ৩৯ রানে অলআউট হয়েছিল নেদারল্যান্ড। তবে রান রেট বিচারে শীর্ষে আছে উগান্ডাই। তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরে তাদের সুপার এইটের স্বপ্ন এখানেই শেষ অনেকটাই। গ্রুপপর্বে তাদের শেষ ম্যাচ আরেক শক্তিশালী দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
এদিকে টানা দুই ম্যাচ জয়ে গ্রুপ ‘সি’-এর দুইয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সমান চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আফগানিস্তান। দুটি ম্যাচে জিতলেও সুপার এইটের রাস্তা সহজ হয়নি ক্যারিবীয়দের। তাদের বাকি দুই ম্যাচ আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সুপার এইটের জায়গা নিশ্চিত করতে হলে বাকি দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে জিততেই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
বাংলাদেশ সময় আজ (রোববার) ভোরে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানে দলীয় ব্যাটিং পারফর্মে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রানের ভালো সংগ্রহ পায় তারা।
সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই আকিলের স্পিন ঘূর্ণির সামনে পড়ে ব্রায়ান মাসাবার দল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন ওপেনার রজার মুকাসা। সেখানে থেকেই শুরু উইকেট হারানোর মিছিল, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ওই ৩৯ রানই জমা করতে পারে উগান্ডা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে চার ওভারে স্রেফ ১১ রান খরচে ফাইফার নেন আকিল এবং জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবটিও।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ঝোড়ো পায় ক্যারিবীয়রা। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ওপেনার ব্রেন্ডন কিং (১৩)। দলীয় ৪১ রানের মাথায় ফেরেন আলপেস রামাজানির বলে বোল্ড হয়ে। তবে টপ ও মিডল অর্ডারের বাকি সবাই ছিলেন ছন্দে। আরেক ওপেনার জনসন চার্লস ছাড়াও অর্ডারের বাকি চার ব্যাটারের সবাই করেছেন অন্তত ২০ রান। সেখানে চার্লসের দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪, রভম্যানের ২৩ এবং শেষদিকে ১৭ বলে রানের ৩০ রানের ইনিংসে চড়ে পিচ বিবেচনায় ১৭৩ রানের ভালো সংগ্রহে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। সেখানে উগান্ডার হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন অধিনায়ক মাসাবা।
আপাতত এই গ্রুপ ‘সি’-কেই গ্রুপ অব ডেথ তকমা দেওয়া যায়। সেখানে দারুণ ছন্দে আছে আফগানরা। তাদের সুপার এইটের রাস্তা অনেকটাই সোজা। এতে পরের রাউন্ডে যাওয়ার দ্বিতীয় টিকিটের লড়াইটা এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে।