ভারত ম্যাচের আগে যেখানে পিছিয়ে পাকিস্তান
রাজনীতির ঘেরাটোপে পড়ে ভারত পাকিস্তান আর এখন কোনো সিরিজে মুখোমুখি হয় না। সবশেষ সিরিজটাও হয়েছিল সেই ২০১২ সালে। এরপর থেকে পথটা আবারও রুদ্ধ। যে কারণে বিরাট কোহলি কখনো লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম মাতাতে পারেননি, বাবর আজম কখনো সিরিজই খেলেননি ভারতের বিপক্ষে!
দুই দলের লড়াইটা এখন কোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টেই সম্ভব। তাই আয়োজকরাও একে ধরে ব্যবসায়িক ফায়দা তুলে নেওয়ার চেষ্টায় থাকেন; এশিয়া কাপ হোক, ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হোক কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, প্রত্যেক টুর্নামেন্টেই এখন দেখা হয়ে যাচ্ছে দুই দলের। শেষ ১২ বছরে ১১ বার কোনো টুর্নামেন্টে একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
যদিও এবারের প্রেক্ষাপটটা আলাদা। ম্যাচটা হচ্ছে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। ৩৪০০০ দর্শকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটা পুরোপুরি ভরে যাবে, আশা আইসিসির। তাতে আরও একটা বিষয়ও জড়িয়ে আছে, নিউ ইয়র্ককে দেখানো, ক্রিকেট ম্যাচের রোমাঞ্চ কতটা ছুঁয়ে যায় দর্শকদের।
নিউ ইয়র্ককে আরও একটা কারণও অবশ্য দিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে। তাতেও হয়তো খেলাটার ক্লাইম্যাক্স-অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্সের খেল সম্পর্কে জেনে গেছেন আমেরিকানরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলের সবশেষ লড়াইয়েও অবশ্য এমন কিছুর দেখা মিলেছে। বিরাট কোহলির ওই অতিমানবীয় ইনিংস, হারিস রউফকে ওভাবে অন দি আপে হাঁকানো ছক্কাটা, এরপর শেষ বলে শেষ হওয়া ম্যাচটা যে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল পরতে পরতে।
সে ম্যাচের ফলটা আবারও দেখা যাক, বাবর আজম নিশ্চয়ই তা চাইবেন না। সেটা হলে যে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পথে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে দলটা আছে খাদের কিনারে। ওখান থেকে উঠে আসতে গেলে ২০২১ বিশ্বকাপের মতো কিছু একটা করে দেখাতে হবে পাকিস্তানকে।
এমন সমস্যা অবশ্য রোহিত শর্মার ভারতের নেই। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে দলটা এসেছে এই ম্যাচে। হেরে গেলেও তাই ক্ষতি নেই তাদের। কিন্তু ম্যাচটা যে ডার্বি ম্যাচ, সেখানে কেউ কাউকে ছাড়ে কী করে! ডার্বিজয়ের দম্ভটার ভার যে অনেক বেশি!
পাকিস্তান ব্যাকফুটে আছে আরও এক জায়গা থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখার পর থেকে নিউ ইয়র্ক আর নাসাউ ক্রিকেট কাউন্টি স্টেডিয়ামকে রীতিমতো বাড়িঘর বানিয়ে ফেলেছেন রোহিত শর্মারা। তবে পাকিস্তান এই মাঠে আগে আর খেলেইনি। এমনকি উইকেটের দেখাও পেয়েছে মাত্র ম্যাচের আগের দিন। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের সামনে ‘অডসের’ অভাব নেই। দলটা চাইবে ‘অ্যাগেন্সট অল অডস’ কিছু একটা করে দেখাতে, তা নিশ্চিতই।