‘প্রোটিয়া থ্রিলার’ হারের দায় নিজের কাঁধেই নিলেন হৃদয় 

‘প্রোটিয়া থ্রিলার’ হারের দায় নিজের কাঁধেই নিলেন হৃদয় 

প্রোটিয়া-বৃত্ত ভাঙার একদম কাছে গিয়েও ফিরে এলো বাংলাদেশ। বেশি অর্ধেক কাজটা সেরে রেখেছিলেন বোলাররাই। ক্লাসেন-ডি কক-মার্করাম-মিলারদের ১১৩ রানেই আটকে ফেলেন তানজিম-তাসকিনরা। তবে নাসাউ কাউন্টিতে গতকাল (সোমবার) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটিতে ব্যাটাররা হলেন ব্যর্থ। বিশেষ করে টপ-অর্ডাররা। শুরুর চার ব্যাটার তামিম, শান্ত, লিটন, সাকিব মিলে করেছেন স্রেফ ৩৫ রান। সেখানে আরও একবার ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখান মাহমুদউল্লাহ-হৃদয়রা। ম্যাচটা একদম নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের দ্বারেই। তবে আম্পায়ারের সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও শেষ ওভারের নাটকীয়তা ম্যাচটা ৪ রানে হেরে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 

টপ-অর্ডারদের চলমান ব্যর্থতা ছাপিয়ে এদিনও রান পেয়েছেন রিয়াদ-হৃদয়। রিয়াদ ম্যাচটা শেষ করতে না পারলেও ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে একদম বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এদিকে ১৮তম ওভারে কাগিসো রাবাদার প্রথম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন হৃদয়। ৩৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান এসেছে তার ব্যাটেই। তবুও ম্যাচ হারের দায় নিজের কাঁধেই নিলেন এই ২৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার। যেহেতু শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন তার ম্যাচ শেষ করে আসা উচিত ছিল তবে জানান হৃদয়। 

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে গতকাল এসেছিলেন হৃদয়ই। ম্যাচের শেষের দিকের বিবরণী তার থেকেই ভালোভাবে পাওয়া যেত। সেখানে এই প্রশ্নটা যেন আসারই ছিল, ম্যাচটা কোন জায়গায় বাংলাদেশ হেরেছে? সাকিবের আউট, শান্তর আউট কি টার্নিং পয়েন্ট কি-না। সেখানে হৃদয়ের উত্তরটা নিজেকে দায় করেই। এক্ষেত্রে তিনি টপ-অর্ডারদের দায় দেননি। ‘ম্যাচটা হেরে গিয়েছি আমার আউটে। আমি যদি ওখানে খেলাটা শেষ করতাম, তাহলে ম্যাচটা হারতাম না। তারা তো অনেক আগেই আউট হয়ে গেছে, আমি তো শেষ পর্যন্ত ছিলাম সেখানে। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, আজকের খেলাটা যদি আমি পারতাম জেতাতে। কিন্তু আমি আউট হয়ে গিয়েছি এবং পারিনি। এতোটুকুই।’ 

হৃদয় ফেরার আগের ওভারেই ঘটে আম্পায়ার বিতর্কের সেই ঘটনা। ১৭তম ওভারে ওটনিল বার্টম্যানের এক বল মাহমুদউল্লাহর পায়ের লেগে পেরিয়ে যায় বাউন্ডারি। সেখানে প্রোটিয়ারা আবেদন করে লেগ বিফোরের এবং আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। সেখানে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। তবে সেই চার আর যোগ হয়নি স্কোরবোর্ডে, বলটি ঘোষণা হয় ডটবল। 

আম্পায়ারের সেই বিষয়টি নিয়ে কথা না বললেও নিজের আউটে আম্পায়ারকে খানিকটা দুষলেন হৃদয়। ‘আইসিসি সেই নিয়ম করেছে, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু তাতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের ওই চার রানের অনেক প্রয়োজন ছিল। এমনকি আম্পায়াররাও দুটি ওয়াইড দেননি। আমার আউটটিও আম্পায়ার্স কলের কারণে হয়েছে। এটা সত্যিই হতাশাজনক।’ 

লঙ্কানদের হারানোর পর এবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জিতলেই সুপার এইটের রাস্তা একদম সহজ হয়ে যেত শান্ত-সাকিবদের। তবে এই হারে এখন গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচ নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। 

সম্পর্কিত খবর