‘অনেক আগেই অবসর নেওয়া উচিত ছিল সাকিবের’

‘অনেক আগেই অবসর নেওয়া উচিত ছিল সাকিবের’

নবমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছেন সাকিব আল হাসান। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দিনে। খেলেছেন এই ফরম্যাটে হওয়া আগের সবকটি আসরেই। তার কাছ থেকে স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশাটা বেশি সবার। অথচ, সেই প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও পূরণ করতে পারছেন না সাকিব।

ব্যাট হাতে লম্বা সময় ধরেই রান পাচ্ছেন না। এখন নতুন করে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তার বোলিংও। এমন ক্রিকেটারকে তাই না রাখার পক্ষে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগ। সাকিবের আরও বহু আগেই অবসর নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।

চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যার কোনোটিতেও দলে ভূমিকা রাখতে পারেননি তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৮ রান করেছেন বল হাতেও ছিলেন বাকিদের তুলনায় খরুচে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছেন মোটে ১ ওভার। ব্যাট হাতেও ভূমিকা রাখতে পারেননি। ৬ রানে সাজঘরে ফিরেছেন দলকে বিপদে ফেলে।

এমন ক্রিকেটারকে তাই বাদ দেওয়ার পক্ষে শেবাগ। তিনি বলেন, ‘গত বিশ্বকাপেই আমার এমন মনে হয়েছে, ওকে আর টি-টোয়েন্টিতে খেলানো উচিত নয়। অনেক আগেই ওর অবসর নেওয়ার সময় হয়েছে। তুমি এত সিনিয়র ক্রিকেটার, নিজে অধিনায়ক ছিলে, তোমার পরিসংখ্যানের অবস্থা এমন, সাকিবের নিজেরই তো লজ্জা পাওয়া উচিত। নিজেরই বলা উচিত, আমি এই সংস্করণ থেকে অবসর নিচ্ছি।’

নিজে কীভাবে ক্রিকেট থেকে সরে গিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গ টেনে সাকিবকেও বিদায় বলার পরামর্শ দিয়েছেন শেবাগ, ‘আমি দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বিশ্বকাপ, যেটা শ্রীলঙ্কায় হয়েছিল। যখন আমি ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, আফগানিস্তানে একটা পেসার ছিল, যাদের আমি স্বাচ্ছন্দ্যে মারতে পারছি, তখন নির্বাচকদের বলে দিয়েছিলাম, আমাকে যেন টি-টোয়েন্টি দলে রাখা না হয়। আমি ওয়ানডে ও টেস্ট খেলব। দিন শেষে নিজে তো বোঝা যায় আমার ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না, বোলিং ভালো হচ্ছে না, দলের জন্য অবদানই রাখতে পারছি না। তাহলে খেলে কী হবে? আমার হিসেবে ওর অবসরের সময় আগেই হয়েছে।’

সম্পর্কিত খবর