বাংলাদেশকে হারিয়ে পাকিস্তানের শুভসূচনা
৮২ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে হারানোর পথটা গড়েই রেখেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। ধীর ব্যাটিং আর ইনিংসের মাঝে ধসের কারণে অনিশ্চয়তাই তৈরি হয়েছিল খানিকটা। তবে সে শঙ্কা শেষমেশ উড়ে গেছে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে। তার অপরাজিত ২৬ রানে ভর করে বাংলাদেশ পেয়ে গেছে ৫ উইকেটের দারুণ জয়। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ দেখাতেও জয় আছে। এশিয়ান গেমসের ব্রোঞ্জ ফাইনালে নিগারের দল ম্যাচটা জিতেছিল ৫ উইকেটে। সে মঞ্চটা আজও তৈরি করার কাজটা শুরু করেন খোদ অধিনায়ক, টস জিতে নেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।
পাকিস্তান অবশ্য শুরুটা মন্দ করেনি। ২ উইকেট খুইয়ে পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৪১ রান। পাওয়ারপ্লে শেষেও বেশ সাবলীলভাবেই এগোচ্ছিল তাদের ইনিংস। তাতে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তাও বাড়ছিল বৈকি। তবে দলীয় ৫৬ রানে নিদা দারকে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি এনে দেন রাবেয়া খান। এরপর সেট ব্যাটার বিসমাহ মারুফ রান আউটের কাটায় পড়লে পাক ইনিংসে ধস নামে। সেখান থেকে পাকিস্তানকে মাথা তুলে দাড়াতে দেয়নি বাংলাদেশ। অলআউট করে ৮২ রান তুলতেই। নাহিদা আক্তার তুলে নেন পাঁচ উইকেট, তাও ৮ রান খরচায়। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই সেরা বোলিং ফিগার।
জবাবে বাংলাদেশ শুরুটা করে দেখেশুনে। ওপেনার শামীমা সুলতানা, আর সুবহানা মুস্তারিকে খুইয়ে পাওয়ারপ্লে শেষে তোলে ৩৩ রান। তবে নিগারের সঙ্গে জুটি বেধে ওপেনার মুরশিদা খাতুন দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের দিকেই। তার ইনিংসটা বেশি দূর এগোয়নি নাশরা সান্ধুর বলে তিনি স্টাম্পিংয়ের শিকার হলে।
একটু পর যখন স্বর্ণা আক্তারও বিদায় নিলেন, তখন কিছুটা শঙ্কাই জেগেছিল, দল না আবার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে! সেটা হয়নি অধিনায়ক নিগারের কল্যাণে। তার অপরাজিত ২৬ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে ঠিকই নিয়ে যায় জয়ের বন্দরে।