ভেঙে ফেলা হবে নাসাউ স্টেডিয়াম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মাত্র ৫ মাসের মধ্যে স্টেডিয়াম তৈরি করে চমক দেখিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার ক্রিকেট বিশ্বের প্রথম ‘মডুলার’ স্টেডিয়ামটি একটি পার্কের মাঠে নির্মাণ করা হয়েছিল। বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচই হতে যাচ্ছে এই স্টেডিয়ামের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলা হবে।
যৌথভাবে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকা। তবে মার্কিন মুলুকে এই প্রথম কোন বিশ্বমানের আইসিসি ক্রিকেট ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই আয়োজিত হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচও। ভারত এই স্টেডিয়ামে মোট তিনটি ম্যাচ খেলেছে। আয়ারল্যান্ড ও পাকিস্তান ছাড়াও আজ (বুধবার) আমেরিকার বিরুদ্ধে রোহিত শর্মাদের ম্যাচও হচ্ছে এই মাঠে।
কয়েক মাস আগেও এখানে ছিল খোলা প্রান্তর। এটি ছিল স্রেফ পার্কের একটি মাঠ। সেই খোলা মাঠই এখন রূপ নিয়েছে দারুণ এক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পার্কটিতে এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে খরচ হয়েছিল ৩০ মিলিয়ন ডলার। ৫ মাসে নির্মাণ হওয়া এই স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করেছিলেন জ্যামাইকান কিংবদন্তি অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট। এবারের টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও বিশ্বের এই দ্রুততম মানব।
তবে আজকের ভারত বনাম আমেরিকা ম্যাচই হবে এই স্টেডিয়ামের শেষ ম্যাচ। এরপরই স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলা হবে। এই মাঠে কোনও ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে সবগুলো ম্যাচ স্থানীয় সময় সকালেই এখানে আয়োজিত হচ্ছিল।
স্টেডিয়ামে মোট দশটি ড্রপ-ইন পিচ নির্মাণ করা হয়েছিল। অর্থাৎ পিচগুলো অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়িয়ে এনে এখানে বসানো হয়েছিল। এরমধ্যে চারটি বসানো হয়েছে মূল মাঠে। আর বাকি ছয়টি পিচ অনুশীলনের সুবিধার্তে পার্কের পাশে স্থাপন করা হয়েছে।
বিশ্বকাপের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই বিশ্বের প্রথম মডুলার ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলা হবে। যদিও স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তে খুশি নন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে আইসিসির ধারণা এই মাঠে আয়োজিত বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ আমেরিকায় ক্রিকেটের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।