ভারতকে সুপার এইটে নিলেন সূর্যকুমার
ব্যাটটা হাসছিল না তার। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে অবশ্য কারো ব্যাটই হাসে না তেমন। তবে আজ সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটটা হাসল ঠিকঠাক। তাতে ভারতের মুখেও ফুটল হাসি। যে পরিস্থিতি থেকে ৪৯ বলে ৫০ রানের ইনিংসটা খেলেছেন, তা থেকে যে বড় বিব্রতকর অবস্থাতেই পড়তে হতো ওই ফিফটিটা না হলে!
সূর্যর এই ফিফটিতে ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভারত পেয়ে গেছে ৭ উইকেটের জয়। তাতে তৃতীয় দল হিসেবে সুপার এইটেও পা রেখে ফেলেছে রোহিত শর্মার দল।
টস জিতে বোলিংয়ে নেমে আরশদীপ সিং দলকে দেন দারুণ এক শুরু। ৯ রানে নেন ৪ উইকেট। তাতে ৮ উইকেট খুইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ১১০ রান তুলতে সক্ষম হয় ২০ ওভার শেষে। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটা আসে নিতীশ কুমারের ব্যাট থেকে। তিনি খেলেন ২৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস।
যুক্তরাষ্ট্রের ছুঁড়ে দেওয়া ১১০ রানের লক্ষ্যটা বিশ্বকাপের শুরুর দিকে হলে হেসেই উড়িয়ে দিত যে কেউ। কিন্তু শেষ কিছু দিনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এই লক্ষ্যের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ায় একটু রোমাঞ্চের আশা দেখাই যাচ্ছিল।
সেটা হচ্ছেও, এমনটা মনে হচ্ছিল ভারত ইনিংসের শুরুতে। বিরাট কোহলি ওপেনিংয়ে আবারও ব্যর্থ হলেন, ফিরলেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর দলীয় ১০ রানে রোহিত শর্মাও নেই। দুটো উইকেটই নিয়েছেন সৌরভ নেত্রভালকর, যিনি বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলেছেন ভারতের পক্ষে।
এর একটু পর আলী খানের শিকার হয়ে যখন ঋষভ পান্তও ফিরলেন, তখন মনে হচ্ছিল এই রান বুঝি পাড়ি দিতে বিশাল কাঠখড়ই পোড়াতে হবে দলটাকে। দলীয় ৫৯ রানে যখন সূর্যকুমার ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন, তখনও তাই মনে হচ্ছিল। ক্যাচটা সৌরভ নিতে পারলে হয়তো তাই হতো। কিন্তু শেষমেশ তা আর তিনি পারেননি।
সুযোগটা আবারও চলে আসে সূর্যের কাছে। টি-টোয়েন্টির শীর্ষ ব্যাটারকে আপনি এমন সুযোগ দিলে তিনি তা কাজে লাগাবেনই। সূর্য পরে থেমেছেন ৫০ রান করে, দলকে জয় এনে দিয়ে তবেই থেমেছেন। ওপাশে শিভম দুবের কথা না বললে হয়তো অন্যায়ই হবে তার প্রতি। ৩৫ বলে ৩১ রানের ইনিংসে তিনিও যে দলকে রেখেছেন ম্যাচটা জয়ের পথে। তার সম্মিলিত ফল ভারতের এই ৭ উইকেটের জয়।
তিন ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারত নিশ্চিত করে তাদের সুপার এইটের জায়গা। ওদিকে পাকিস্তানও এই ম্যাচের দিকে চেয়ে ছিল। কামনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হার। তাই হয়েছে শেষমেশ। তাই শেষ আটে যাওয়ার আশাটা আরও কিছু দিনের জন্য বেঁচে রইল বাবর আজমের দলের।