ডাচদের গুঁড়িয়ে রেকর্ড বইয়ে তোলপাড় অস্ট্রেলিয়ার
ফলাফলটা ওই প্রথম ইনিংস পরেই তো নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল! টস জিতে অজিরা ব্যাট হাতে ভাঙল একাধিক রেকর্ড, তখনই তো জয়টা প্রায় অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল ডাচদের। তবে ৩৯৯ রান তাড়া করতে গিয়ে এভাবে রেকর্ড গড়ে হারবে দিনকয়েক আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে থমকে দেওয়া নেদারল্যান্ডস, তা কে ভেবেছিল?
অস্ট্রেলিয়া ওই অভাবনীয় কাজটাই করে দেখিয়েছে, ডাচদের হারিয়েছে ৩০৯ রানে। তাতে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানে জেতার রেকর্ডটাও নিজেদের করে নিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার করে বসেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের পর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও ছুঁয়ে বসেন তিন অঙ্কের মাইলফলক। এরপর ডাচদের শেষ দশ ওভারে নতুন দুঃস্বপ্ন উপহার দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। নিজে করেন ৪০ বলে সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি।
একটা রেকর্ড গড়েছিল ডাচরাও। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার 'কীর্তি' গড়েন বাস ডি লিডে, দশ ওভারে দেন ১১৫ রান। অস্ট্রেলিয়া পেয়ে যায় ৩৯৯ রানের পাহাড়।
সেখান থেকে আরও একটা রেকর্ড হতে পারত, বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। খুবই কঠিন, তবে অসম্ভব তো নয়! অস্ট্রেলিয়া যেভাবে বোলিং করল, তাতে সে লক্ষ্যটাকে অসম্ভব মনে হতে লাগল একটু পরেই।
পঞ্চাশ পেরোনোর আগে তাও স্কোরকার্ডটা একটু 'ভদ্রস্থ' ছিল, হারিয়েছিল 'মাত্র' তিন উইকেট; ৫০ পেরোনোর পর তো রীতিমতো ধসেই গেল ডাচরা। তেজা নিদানামারু, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেল্ব্রেখট, স্কট অ্যাডওয়ার্ডসরা সাধারণত লেট মিডল অর্ডারে এসে হাল ধরেন দলের। এদিন তাও হলো না। ৮৪ রানে খুইয়ে বসল ৬ উইকেট। এরপর অ্যাডাম জ্যাম্পার তোপে লেজের ব্যাটাররাও দাঁড়াতে পারেনি একটুও। শেষ চার ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন তিনিই। আর তাতেই ৯০ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। অস্ট্রেলিয়া ভেঙে দেয় নিজেদেরই গড়া ৮ বছর আগের পুরোনো কীর্তি। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানে জেতার রেকর্ডটা অজিদেরই থাকল, তবে ব্যবধানটা বাড়ল এবার।