স্মৃতির মাঠে উইকেটের আচরণ নিয়ে সন্দিহান বাংলাদেশ
আর্নস ভেল স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ মুখোমুখি নেদারল্যান্ডসের। তবে কিংসটাউনের এই মাঠটায় ক্রিকেটটা ঠিক নিয়মিত খেলা হয় না। সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা এখানে হয়েছিল প্রায় ১০ বছর আগে। তার দশ বছর পর আজ সেখানে খেলা ফিরছে, তাও আবার বিশ্বকাপের ম্যাচ দিয়ে।
এই কিংসটাউনের মাঠে এই দশ বছরের বিরতির আগেও খেলা তেমন হয়নি। যতটুকুই হয়েছে, সেটাই অবশ্য বাংলাদেশের জন্য অমূল্য। এই মাঠে লুকিয়ে সাকিব আল হাসানের দলের ইতিহাস গড়ার স্মৃতি। প্রায় ১৫ বছর আগে মাশরাফি বিন মুর্তজা আচমকা চোটে পড়ায় সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৯৫ রানে হারায় উইন্ডিজকে। এরপরও অবশ্য একটা টেস্ট এখানে খেলেছে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে দল হেরেছিল ১০ উইকেটে।
ওই মাঠে বাংলাদেশ ইতিহাসটা আরও আগেই গড়ে ফেলতে পারত। ২০০৪ সালের সফরে এই মাঠে প্রতাপশালী উইন্ডিজকে দারুণ ভোগান্তি উপহার দিয়েছিল হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশ। কিন্তু শেষমেশ জয়টা আর ধরা দেয়নি হাতে। একটা ম্যাচ হেরেছে ১ উইকেটে, আরেকটা ম্যাচ শেষে জুটেছে ২৩ রানে হারের আফসোস।
সেই মাঠে আজ বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি। এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় না সচরাচর। সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচটা হয়েছে ২০১৪ সালের আগস্টে, বাংলাদেশ আর উইন্ডিজের টেস্টের পর আর ম্যাচ হয়নি এখানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো হয় না, ঘরোয়া ক্রিকেটও হয় খুব কম। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ এখানে একটাও হয়নি আজ পর্যন্ত।
ওখানের উইকেটটা কেমন হবে, তা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা মিলছে না তাই। বাংলাদেশও তাই সন্দিহান, উইকেটের আচরণ কেমন হবে তা নিয়ে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও সেটা জানালেন সংবাদ সম্মেলনে। বললেন, ‘এটা আসলে বলা মুশকিল। কারণ যদিও আমরা সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করেছি, দুই উইকেট দুই ধরনের আচরণ করেছে। ব্যাটারদের কাছ থেকে ফিডব্যাক পেলাম বা আমি ব্যাট করে যা বুঝলাম। তো এটা বলা মুশকিল যে কাল কত রানের উইকেট হবে।’
এমন উইকেটে করণীয় কী হবে বাংলাদেশের, সেটাও জানালেন শান্ত। তিনি বললেন, ‘তো ব্যাটার বা বোলার হিসেবে কত তাড়াতাড়ি উইকেটটা রিড করতে পারছি, আর সে অনুপাতে পারফর্ম করতে পারছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’