বাংলাদেশকে সুপার এইটের আরও কাছে নিলেন সাকিব-রিশাদ
সুপার এইটে যেতে হলে এই ম্যাচটা বাংলাদেশকে জিততেই হতো। বাংলাদেশ সেই ম্যাচে ২৫ রানে হারাল নেদারল্যান্ডসকে। তবে এই ম্যাচটা সাকিব আল হাসানেরই হয়ে থাকবে। ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। স্মৃতিময় আর্নস ভেল স্টেডিয়ামে পা রাখতেই তার ব্যাট জ্বলে উঠল। ফিফটি পেলেন প্রায় দেড় বছর পর। এরপর বোলিংয়ে আরও একবার দলের তারকা বনে গেলেন রিশাদ হোসেন, তাকে সমর্থন যোগালেন বাকিরাও। সব মিলিয়েই এল এই জয়! তাতে সুপার এইটের খুব কাছেই চলে গেছে বাংলাদেশ।
এই কিংসটাউনে বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন এক অধ্যায় লেখা হয়েছিল ১৫ বছর আগে। মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে এই মাঠেই বাংলাদেশ জিতেছিল দেশের বাইরে প্রথম টেস্টটা। সাকিব নিজেও পারফর্ম করেছিলেন বেশ। সে মাঠে পা রেখেই সাকিব নিজেকে ফিরে পেলেন যেন। সোনালী সময়ের কাট পুল ফিরে এল তার ব্যাটে। আর বাংলাদেশ বড় রান পেয়ে গেল তাতেই।
তিনি যখন এলেন, দ্রুত দুই উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ কাঁপছে তখন। ঠিক সেই সময় প্রতি আক্রমণে দলের ওপরের চাপটা ঝেরে ফেললেন। তবে ওপাশে যখন একের পর এক উইকেট যাচ্ছিল, তখন পরিস্থিতি দাবি মেটাতে খোলসে ঢুকে পড়তে ভোলেননি। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ যখন ঝড় তোলার শুরুর দিকে বিদায় নিলেন, তখন দায়িত্বটা আবার নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন। পথে করলেন ফিফটি, ছুঁলেন ২৫০০ টি-টোয়েন্টি রান। ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে রান জড়ো করলেন ১৫ বলে ২৯। তার ৪৬ বলে ৬৪ রানে ভর করে বাংলাদেশ পেয়ে গেল ১৫৯ রানের পুঁজি।
সাকিব তার কাজটা করে দিয়েছিলেন, এবার পালা ছিল বোলারদের। তাসকিন আহমেদ আর তানজিম সাকিব দুটো উইকেট তুলেও দিলেন। এরপর বিক্রমজিত সিংকে ফেরালেন মাহমুদউল্লাহ, ১৫ বছর আগে এই কিংসটাউনেই বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে দল জিতিয়ে রাজসিক টেস্ট অভিষেকটা পেয়েছিলেন যিনি। তবু বাংলাদেশের অস্বস্তিটা কাটছিল না।
সেটা বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে পৌঁছুল যখন ডাচদের প্রয়োজন ছিল ৩৬ বলে ৫৬ রানের। সেখান থেকে ম্যাচটা যে বাংলাদেশ ২৫ রানে জিতল, তার কৃতিত্বটা রিশাদের। ১৫তম ওভারে এঙ্গেলব্রেখট আর বাস ডি লিডাকে ফিরিয়ে তিনিই ম্যাচটা বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে আসেন। এরপরের ওভারে আক্রমণে এসে তিনি তুলে নেন আরও এক উইকেট। কোটা শেষ করেন ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে। সে ধাক্কাটা আর ডাচরা সামলাতে পারেনি। বাংলাদেশ তাই ম্যাচটা শেষ করে দারুণ স্বস্তির এক জয় তুলে নিয়ে।