সেই ইংল্যান্ডই এখন অস্ট্রেলিয়ার সমর্থক!
ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো দ্বৈরথ এই দুই দলের। অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীও বটে। লড়াইয়ের মঞ্চটা যখন বিশ্বকাপ, তখন চিরবৈরিতার ঝাঁজটা আরও বেড়ে যায় বৈ কমে না। কিন্তু বাস্তবতা এখন বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে এমন এক পরিস্থিতির সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন করা ছাড়া উপায় নেই তাদের সামনে।
যত ভজকট পাকিয়েছে ওই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ম্যাচটা। ওই ম্যাচটা জিতে গেলে ইংল্যান্ডের ভাবনাতেই থাকতে হতো না। ওই ম্যাচ থেকে না পাওয়া ‘জয়’টার ফলে ইংলিশরা খানিকটা পিছিয়েই দিয়েছে। যার ফলে বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হতো তাদের, চোখ রাখতে হতো নেট রান রেটেও। এবং অতি অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে তাকিয়ে থাকতে হবে।
ওমানের বিপক্ষে ম্যাচে নিজেদের কাজটা করেছে ইংল্যান্ড। ওমানকে ৪৭ রানে অলআউট করে ম্যাচটা জিতেছে মোটে ১৯ বল খরচায়। তাতে নেট রান রেট রীতিমতো আকাশে উঠে গেছে ইংলিশদের। আর সুপার এইটের দুয়ারও ভালোভাবেই খুলে গেছে তাদের সামনে।
এরপরই তাদের সামনে চলে আসছে সে বাস্তবতাটা, যেখানে তাদের সমর্থন যোগাতে হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে। ইংল্যান্ড ১০১ বলে জিতে স্কটিশদের পেছনে ফেলেছে রান রেটে। এখন স্রেফ পয়েন্টে তাদের পেছনে ফেলতে পারলেই কেল্লাফতে। তবে এখানে শর্ত আছে। ৩ ম্যাচ থেকে ৫ পয়েন্ট পাওয়া স্কটল্যান্ডের আর কোনো পয়েন্ট পাওয়া চলবে না। সেটা হলেই ইংলিশদের শেষ ম্যাচটা হয়ে পড়বে অর্থহীন।
স্কটল্যান্ডের শেষ ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সে ম্যাচে স্কটল্যান্ড হারলে তবেই ইংল্যান্ড নামিবিয়াকে হারিয়ে যেতে পারবে শেষ আটে। অস্ট্রেলিয়া কি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মনের আশা পূরণ করবে রোববার সকালে?