নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে যা বললেন সাকিব
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারানোর খুব কাছে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে ম্যাচে তা হয়নি। নেদারল্যান্ডস ম্যাচ দিয়ে আবারও জয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ফিফটি করে আবারও ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি যা বললেন তা স্পোর্টস বাংলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো–
ম্যাচ জয়ে রিশাদের পারফর্ম্যান্সটাকে কীভাবে দেখছেন?
খুবই ভালো করছে নতুন হিসেবে। আমার কাছে মনে হয় ওই ক্যারেক্টার দেখিয়েছে এটা ভালো। কিন্তু আমি মনে করি এখানে সবারই অবদান আছে। বিশেষ করে পুরো বোলিং ইউনিটের। একেক সময় একেক পরিস্থিতিতে একেকজনকে দরকার হয়। সবাই সবার কাজটা করছে বলে সবার অবদানটা চোখে পড়ছে। মুস্তাফিজ যেভাবে বোলিং করেছে, তাসকিন, সাকিব নতুন বলে যেভাবে বোলিং করেছে। স্বাভাবিকভাবে এই অবদানগুলোর দরকার হয় আরেকটা বোলারকে ভালো বোলিং করার জন্য। আমার মনে হয় সেই কাজটা আমাদের বোলিং ইউনিট করতে পারছে।
ম্যাচের আগে অনেক সমালোচনা হচ্ছিল। শেবাগ বলছিলেন আপনাকে দল থেকেই বসিয়ে দেওয়ার কথা। এই পারফর্ম্যান্স কি তারই জবাব?
একজন খেলোয়াড় কখনও কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে আসে না। খেলোয়াড়ের কাজ হচ্ছে সে যদি ব্যাটার হয় ব্যাটিং করা, দলের জন্য অবদান রাখা, সে যদি বোলার হয় তার কাজ হচ্ছে ভালো বোলিং করা, উইকেটটা ভাগ্যের ব্যাপার থাকে। সে যখন ফিল্ডিং করে তখন তার কাজ হচ্ছে প্রতিটা রান বাঁচানো, যতগুলো ক্যাচ তার কাছে যায় ততগুলো ধরা। এখানে আসলে উত্তর দেয়ার কিছু নেই কাউকে। বর্তমান একজন খেলোয়াড় সে দলের হয়ে কতটা কৃতিত্ব রাখতে পারে... সেটা যখন রাখতে পারে না তখন স্বাভাবিকভাবেই কথা হবে এবং আমি মনে করি সেটা খুব খারাপ কিছুও না।
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটাকে কেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন?
অবশ্যই, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমাদের নেপালের সাথে জিততে পারলে আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবো। আমাদের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন হবে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা মুখিয়ে আছি সামনের ম্যাচের জন্য। ঈদের দিন, আমরা মুসলমান যারা আছি তাদের জন্য আনন্দের দিন, বিশেষ করে বাংলাদেশের সবাই উদযাপন করে। সেটা অন্য ধর্মের মানুষরাও ঈদের দিন উদযাপন করে। আশা করব এরকম ঈদের একটা দিনে তাদের মুখে আরও বেশি হাসি ফোটাতে পারব।
অনেক দিন ধরে ছন্দে ছিলেন না। কিছুটা কি চিন্তিত ছিলেন?
নিজেরটা নিয়ে কখনই চিন্তিত ছিলাম না। আমার ক্যারিয়ারে মনে করি না কখনও এরকম চিন্তা করেছি। দলের জন্য যদি অবদান রাখতে পারি সেটা ভালো লাগে। যেটা বললাম আজকে হয়ত আমার দিন ছিল, সামনের ম্যাচে হয়ত অন্য কারও দিন আসবে।
১৫৯ রানের পুঁজি এসেছিল প্রথম ইনিংস শেষে। তখন কী মনে হচ্ছিল?
যে ধরনের পিচ ছিল তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা চ্যালেঞ্জিং টোটাল ছিল। আমাদের খুব ভালো বোলিং করতে হতো, যেটা আমাদের বোলিং ইউনিট করেছে। এক সময় যেটা বললাম ১২ ওভার পর্যন্ত খেলাটা ৫০-৫০ ছিল, খেলাটা যেকোন দিকে যেতে পারত। কৃতিত্ব দিতে হয় মুস্তাফিজ, রিশাদকে যেভাবে ওই সময় ওরা চারটা ওভার বোলিং করেছে। অসম্ভব ভালো বোলিং করেছে যেটা আমাদের ম্যাচে ভালোভাবে ফিরিয়ে এনেছে। তারপর আমরা শেষটাও ভালো করেছি। আমাদের বোলিং ইউনিট অনেকদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে, বিশেষ করে পেস বোলাররা। ওই আত্মবিশ্বাসটা ওদের ভেতরে দেখা যায়। রিশাদের এডিশন আমাদের জন্য ভালো এডিশন বলে মনে করি।
পরিস্থিতি ম্যাচের হোক বা নিজের, ভালো ছিল না। এই পরিস্থিতিতে এমন পারফর্ম্যান্স। এ নিয়ে কী বলবেন?
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সবসময় আমার প্রতি অনেক দয়ালু। এরকম পরিস্থিতি যখনই আসে আল্লাহ ভালো কিছু দিয়ে দেয়। আলহামদুলিল্লাহ যে ভালো কিছু করতে পেরেছি। গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুইটা পয়েন্ট পাওয়া।