নিউজিল্যান্ডের বিদায়ে শঙ্কায় গ্যারি স্টিডের চাকরি
পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপে থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর সুপার এইটে পা রেখেছে আফগানিস্তান। তাতে নিশ্চিত হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের বিদায়। যা ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই প্রথম যা ঘটল নিউজিল্যান্ডের সাথে। অথচ, এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম হট ফেভারিট ছিল কিউইরা। বিশ্বকাপে পা রেখেছিল শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে। আর এখন সবার আগে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাদের। আর এতেই শঙ্কায় পড়ে গেছে গ্যারি স্টিডের চাকরি।
অথচ, ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচের চেয়ারে বসে ২০২১ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তুলেছিলেন স্টিড। এরপর সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও সেমিফাইনাল খেলেছে কিউইরা। সব মিলিয়ে মোট ৪ আসরে সেমিফাইনাল খেলা কিউইরা এবার ছিটকে গেছে প্রথম রাউন্ডেই। স্বাভাবিকভাবেই তাই চাকরি নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গেছেন স্টিড।
ব্ল্যাক ক্যাপসের চাকরিটাতে আর নিজের হাতে নেই স্টিডের বুঝে গেছেন সেটিও। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি প্রশ্ন যা আসলে আমাকে না জিজ্ঞাস করে অন্যদের জিজ্ঞাসা করা উচিত। আমি আয়নায় নিজেকে দেখতে পারি এবং জানি আমরা যে প্রস্তুতিটি রাখার চেষ্টা করেছিলাম তা (সম্ভব) হিসাবে ভাল ছিল।’
এবারের বিশ্বকাপের আগে কোনো ধরনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি নিউজিল্যান্ড। আইপিএল শেষ করে বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে দলে যোগ দিয়েছে ক্রিকেটাররা। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩ রানে হার। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমবারের মতো আফগানদের বিপক্ষে হার। যা একরকম টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে দিয়েছিল কিউইদের। এরপরও আশা ছিল যদি আফগানরা পা হড়কায়। তবে শেষ পর্যন্ত তেমনটি ঘটেনি।
দলের এমন পারফরম্যান্সে স্টিড নিজেও হতাশ। জানিয়েছেন, তারা আসলে এই টুর্নামেন্টে এসেছিলেন শিরোপা জেতার লক্ষ্যেই। স্টিড বলেন, ‘একটা ফাঁপা অনুভূতি নিয়ে ফিরতে হচ্ছে আমাদের। ছেলেরা হতাশ। আমরা এখানে এসেছি ম্যাচ এবং টুর্নামেন্ট জেতার চেষ্টা করতে।’