‘ইংল্যান্ডকে বিদায় করার পায়তারা করছে না অস্ট্রেলিয়া’

‘ইংল্যান্ডকে বিদায় করার পায়তারা করছে না অস্ট্রেলিয়া’

প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া এবং এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারে সুপার এইটের সমীকরণটা কঠিন হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। শেষ ম্যাচে নিজেদের জয়ের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ হার প্রত্যাশা করতে হবে স্কটল্যান্ডের। তবে এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয় যখন অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজেলউড জানান, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হতে চান না তারা, প্রত্যাশা করেন ইংল্যান্ড এই টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিক।

তার এমন কথার পর শঙ্কা তৈরি হয়, ইংলিশদের বিদায় করতে স্কটিশদের বিপক্ষে না ইচ্ছে করে ম্যাচ হেরে বসে সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলা অস্ট্রেলিয়া। না ম্যাচ জিতলেও নেট রান রেটের মারপ্যাঁচে ফেলে দেয় ইংল্যান্ডকে। স্কটিশদের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন অস্ট্রেলিয়া দলের তেমন ভাবনা আছে কিনা; জানতে চাওয়া হয়েছিল প্যাট কামিন্সের কাছে। তিনি অবশ্য বিষয়টিকে হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন হ্যাজেলউড ওই কথা মজার ছলে বলেছেন।

কামিন্স বলেন, ‘মাঠে খেলার জন্য নেমে সব সময় নিজের সেরাটাই দিতে হয়। তা না হলে সেটা সম্ভবত খেলার চেতনাবিরোধী। এটা নিয়ে (ইংল্যান্ডকে বিদায়ের চেষ্টা) খুব বেশি ভাবিনি, কারণ ব্যাপারটা মাথায় আসেনি।’

হ্যাজেলউডের মন্তব্য নিয়ে কামিন্স বলেন, ‘জশির (হ্যাজলউড) সঙ্গে কথা হলো। সেদিন সে মজা করেছে। ব্যাপারটা একটু অপ্রাসঙ্গিকও হয়েছে। আমরা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার চেষ্টাই করব, যারা এখন পর্যন্ত ভালো একটি টুর্নামেন্ট কাটাচ্ছে এবং কাজটা কঠিনও হবে। দলের অংশ হিসেবে আপনি এটা (রান রেট) নিয়ে মজা করতে পারেন। কিন্তু যদি বলেন তাতে আমাদের খেলার ধারা বদলাবে কি না, সেটা অবশ্যই নয়। (দলের) অন্যদের মতো আমিও কখনো জেতার লক্ষ্য এবং আক্রমণাত্মক মানসিকতা ছাড়া মাঠে নামিনি।’

অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ ম্যাচ খেলতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। যেই ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ১৬ জুন। তার একদিন আগে নামিবিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। সেখানে জয় পেলে তখন তাদের সুপার এইটের টিকিট পেতে তাকিয়ে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ড ম্যাচের ওপর। তবে তার আগে নিশ্চয় নেট রান রেটটা সর্বোচ্চ বাড়িয়েই নিতে চাইবে ইংলিশরা। যেমনটা দেখা গেছে ওমানের বিপক্ষে ম্যাচে। ওমানকে ৪৭ রানে থামিয়ে মাত্র ১৯ বলে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। যা সবচেয়ে কম বলে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড।

সম্পর্কিত খবর