তামিমের বিশ্বাসের মান রাখলেন সাকিব
‘আমার পূর্ণ বিশ্বাস সে এখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ বের করবে এবং ব্যাটে-বলের দলের হয়ে অবদান রাখবে।’ কথাগুলো মূলত সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। ব্যাটে-বলে সম্প্রতি যখন এখন খুব একটা ভালো সময় পার করছেন না তিনি তখন, শান্ত, হৃদয়সহ অনেকেই সাকিব দ্রুতই ফর্মে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। তবে ঠিক শুরুর কথাগুলো তার পুরনো বন্ধু তামিমের। বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক আগেই শেষ হয়ে গেলেও সাকিবের অভিজ্ঞতা বিচারে সে দ্রুতই ফর্মে ফিরবে এমন বিশ্বাস ছিল তামিমের। পুরনো বন্ধুর বিশ্বাসের মান একদিন বাদেই রাখলেন সাকিব। ডাচদের বিপক্ষে দলের ২৫ রানের জয়ে বড় অবদান যে ছিল সাকিবেরই।
ব্যাট হাতে রীতিমত ধুঁকছিলেন সাকিব। বিশ্বকাপে শুরু দুই ম্যাচে রান করেছেন স্রেফ ১১, উইকেটের খাতাটা শূন্য। তবে ডাচদের বিপক্ষে সুপার এইট নিশ্চিতের পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন সাকিব। এদিনও শুরুতেই উইকেট হারিয়েছেন টপ-অর্ডাররা। তবে চাপ সামলে ৪৬ বলে ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন সাকিব। ছিলেন অপরাজিত। এতেই ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এদিকে বল হাতে খুব এদিনও উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ডাচদের চড়ে বসতে দেননি সাকিব।
সাকিবের এই ইনিংসটা কেমন গুরুত্ব বহন করে তা বোঝা গেল দেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার কথাতেও। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তাই সাকিবকে নিয়ে মাশরাফি লিখেছেন, ‘আজ সাকিব আবার পুরো দলের দায়িত্ব নিয়ে দারুণ একটা ইনিংস খেলেছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেছে। যার কারণে একটা বড় রান করা সম্ভব হয়েছে।’
সাকিবকে নিয়ে তামিম কথাগুলো বলেছিলেন ক্রিকইনফোতে, ক্রিকেট বিশ্লেষকদের আলোচনায়। তামিম এখন নিয়মিত এই ক্ষেত্রের সদস্য। সেখানে ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচের পরেই সাকিবকে প্রশংসায় ভাসান তিনি, ‘আমার মতে, ওর (সাকিব) ওজন কতটা তা বোঝানোর কিছু নেই। আমরা ওর মূল্য বুঝি। সে ১৬-১৭ বছর ধরে নিজের কাজটা করছে। খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। অনেক সমালোচনা হয়েছে…সব মিলিয়ে এটা দারুণ একটা ইনিংস ছিল। শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে ছিল, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’