ইতিহাস লিখা হলো না নেপালের, ১ রানে জিতল প্রোটিয়ারা
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৮ রান। হাতে ৪ উইকেট। সহজ এই সমীকরণ নিয়ে নেপাল দাঁড়িয়ে ছিল ইতিহাস লেখার সামনে। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয় তুলে সামনে।। ওটনিল বার্টম্যানের সামনে গুলাশান ঝা মিস করলেন শুরুর দুই বল। তবে পরের দুই বলে একটি চার ও একটি ডাবলের পর শেষ ২ বলে সমীকরণ দাঁড়াল কেবল ২ রানের। কেবল কিংসটাউনের আর্নস ভ্যালেতে আসা দর্শকরাই নয়, এভারেস্টের দেশের নেপালিজরা অপেক্ষায় ছিল ঐতিহাসিক এক জয়ের। যা কার্যত তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় হতে পারতো। তবে শেষ পর্যন্ত নেপালকে কাঁদিয়ে ১ রানের ম্যাচ জিতল প্রোটিয়ারা। বার্টম্যানের শেষ দুই বলের দুই বাউন্সার ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না গুলশান এবং শেষ বলে প্রান্ত বদল করতে গিয়ে হলেন রান আউট।
নাটকীয় এই ম্যাচ জিতে শেষ পর্যন্ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার এইটে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ ‘ডি’-এর চার ম্যাচেই চারটিতেই জিতল তারা। এদিকে এই হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল নেপালের। আগামী ১৭ জুন গ্রুপপর্বে তাদের শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেটি এখন কেবলই নিয়মরক্ষার।
কিংসটাউনে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেপাল অধিনায়ক রোহিত পোডেল। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৫ রানের মামুলি সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সহজ সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো করেছিল নেপালের দুই ওপেনার কুশল ভুরতেল ও আসিফ শেখ। তবে অষ্টম ওভারে ৩ বলের বলের মধ্যে ভুরতেল ও রোহিতকে সাজঘরে ফেরান শামসি। তবে আনিল শা’কে নিয়ে সেই চাপ অনায়াসেই সামলে নেন আসিফ। তাদের ৫০ রানের জুটি থামে দলীয় ৮৫ রানে গিয়ে। সেখানে আনিল ফেরেন ২৭ রান করে। জয়ের পাল্লা সেখানে অনেকটাই নেপালের দিকে। ৩৮ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল স্রেফ ৩১ রান এবং হাতে ছিল ৭ উইকেট। কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা সমীকরণ নিয়ে আসে ১৮ বলে ১৮ রানের। তবে ১৮তম ওভারে শামসির ফের জোড়া আঘাত এবং শেষ ওভারের নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গ হয় নেপালিজদের।
প্রোটিয়াদের হয়ে সেখানে ৪ ওভারে সেফ ১৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শামসি। এতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা ধীরগতির হলেও শুরুটা ভালো পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। ১৩ ওভারে ২ উইকেটে স্কোরবোর্ডে উঠেছিল ৭৩ রান। সেখান থেকেই শুরু ঐরি-ভুরতেলের স্পিন ঘূর্ণির। এতে রানের গতি তো আর তারা বাড়াতেই পারেনি, উল্টো দলীয় তিন অঙ্কের রানে পৌঁছানোর আগেই সাজঘরে পাড়ি জমান মার্করাম, ক্লাসেন ও মিলাররা। নেপালিজ স্পিনারদের চাপ শেষ পর্যন্ত আর সামলাতে পারেনি প্রোটিয়ারা। এতেই ৭ উইকেটে ১১৫ রানেই থামে তাদের ইনিংস। তাদের ৭ উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার ঐরি ও ভুরতেল মিলেই। এর মধ্য ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ভুরতেল নিয়েছেন ৪টি এবং ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ঐরি নিয়েছেন ৩টি।