চার হ্যাটট্রিকের তিনটিতেই প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, যা বললেন কামিন্স
সুপার এইটের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স। শেষ দিকে তার দারুণ বোলিংয়েই বাংলাদেশের ইনিংসটা থেমে গেছে ১৪০ রানে। নয়তো আর ১০-১৫টি রান জমা হতেই পারত বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। তাতে করে চাপ বাড়ত অজিদের ওপর। বাংলাদেশি বোলাররা পেত আরও বেশি লড়াই করার রসদ। তবে সেটি হতে দেননি কামিন্স। ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক আদায় করে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন অভিজাত ক্লাবে নাম লেখানোর অনুভূতির কথাও।
এদিন ১৮তম ওভারের শেষ দুটি বলে পরপর মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসানকে আউট করেন কামিন্স। এরপর ২০তম ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরান দারুণ ছন্দে থাকা তাওহীদ হৃদয়কে। যার সুবাদে হ্যাটট্রিক পূরণ হয় কামিন্সের হ্যাটট্রিক। এদিন প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। তার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করা সপ্তম বোলার হয়েছেন কামিন্স। অজি বোলারদের ব্রেট লির পর যা দ্বিতীয়। ব্রেট লির সেই হ্যাটট্রিকেও প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ।
শুধু তাই নয়। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে মোট চারবার হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছে অজি বোলাররা। যার মধ্যে তিনবারই প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেপটাউনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইতিহাসেই প্রথম হ্যাটট্রিক করেন ব্রেট লি। মাঝে লম্বা সময় পর ২০২০ সালে জোহানেসবার্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার। এরপর মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন পেসার নাথান এলিস। এবার ফের বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে সেই তালিকায় নাম উঠালেন কামিন্স।
কামিন্সের হ্যাটট্রিকটি এসেছে দারুণ ছন্দে থাকা তাওহীদ হৃদয়কে আউট করে। যা তার খুশি বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণে। যা নিয়ে কামিন্স বলেন, ‘সেট ব্যাটার, ইনিংসটি সাজিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু আপনি কখনোই জানেন না আপনার ইনিংসটি কীভাবে শেষ হতে যাচ্ছে।’
নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক নিয়ে কামিন্স বলেন, ‘জুনিয়র পর্যায়ে আমার কয়েকটি হ্যাটট্রিক ছিল কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কখনও এটা পাওয়া হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে অ্যাগার ও এলিসদের ক্লাবে নাম লেখাতে পেরে খুশি। ছেলেরা আমাকে তাদের ক্লাবে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বেশি ভালো লেগেছে খেলাটি জিততে পেরে। তাছাড়া আমাদের নেট রান রেটও বেশ ইতিবাচক।’