ডি ককের ফিফটিতে বড় সংগ্রহের আভাস প্রোটিয়াদের

ডি ককের ফিফটিতে বড় সংগ্রহের আভাস প্রোটিয়াদের

জিতলেই মিলবে সেমিফাইনালের টিকিট। এমন সুযোগ কে না লুফে নিতে চাইবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই কাজটিই করছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। টসে হেরে ব্যাটিং করতে হলেও তাতে খুশিই হয়েছে প্রোটিয়ারা। কেননা, রান তাড়ায় ম্যাচ জেতার ব্যাপারে যে বড্ড আনাড়ি তারা। তবে ইংলিশদের অবশ্য বিষয়টি উল্টো। বরাবরই রান তাড়া করাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে দলটি। আর সে কারণেই টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো। লক্ষ্য যত কমে সম্ভব প্রোটিয়াদের আটকে রাখা।

তাদের সেই পরিকল্পনা অবশ্য ধূলিসাৎ করে দিয়েছে প্রোটিয়াদের দুই ওপেনার রেজা হেনরিক্স ও কুইন্টন ডি কক। এই দুই ব্যাটার উইকেট ঠিক রেখে ব্যাট হাতে ইংলিশ বোলারদের শাসন করেছেন পাওয়ারপ্লেতে। দেখিয়েছেন প্রোটিয়াদের ব্যাটিং শক্তি। তাতে পাওয়ারপ্লেতেই বড় সংগ্রহের ভিত গড়া হয়ে গেছে প্রোটিয়াদের। এখন ম্যাচের বাকি অংশে কাজটুকু ঠিকঠাক হলেই রানের পাহাড় গড়া হয়ে যাবে তাদের।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৮ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৫ রান। ২২ বলে চলতি বিশ্বকাপের দ্রুততম ফিফটি তুলে নিয়েছেন ডি কক। এই বিশ্বকাপে আগের দ্রুততম ফিফটিও সমান ২২ বলে। যা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারন জোন্স। ডি ককের এমন আগ্রাসী দিনে আরেক ব্যাটার হেনরিক্স এখনও খোলসে বন্ধী। তবে দলকে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই চাপ মুক্ত রাখছেন ডি কক।

এর আগে সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে দু’দলই। ইংল্যান্ড জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে।

টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ডের অতীত পরিসংখ্যান জানাচ্ছে ম্যাচটা জিততে পারে যে কোনো দলই। কেননা, এখন পর্যন্ত ২৫টি ম্যাচ খেলেছে দু’দল। এরমধ্যে একটি ম্যাচ কেবল বাতিল হয়েছে। বাকি ২৪ ম্যাচে সমান ১২টি করে জয় আছে দু’দলেই। স্বাভাবিকভাবেই এমন একই মানের দুটি দল যখন মুখোমুখি হয় তখন কোনো নির্দিষ্ট দলকে এগিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এখানেও তাই সুযোগ নেই কাউকে এগিয়ে রাখার।

সেমি নিশ্চিতের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের একাদশে বদল এনেছে একটি। শামসির জায়গায় একাদশে ফেরানো হয়েছে ওটনিল বার্টম্যানকে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড ভরসা রেখেছে তাদের সবশেষ ম্যাচের একাদশেই।

সম্পর্কিত খবর